জনসমাগমস্থলে মন্ত্রীর ধূমপান, ঘটনার পূণরাবৃত্তি চাই না
শিশু-কিশোরদের একটি অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ধূমপান শুধু আইনের লঙ্ঘণই নয়, অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য। ধূমপান একটি বদঅভ্যাস, মারাত্মক নেশা ও ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করে মঞ্চে থাকা অবস্থায় শিশু-কিশোরদের সামনে মন্ত্রীর ধূমপানের ঘটনায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট গভীরভাবে ব্যথিত, মর্মাহত।
জনসমাগমস্থলে ধূমপান করা “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৩” অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইনের ধারা ২(চ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ৪ ধারা অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন সবার জন্য সমানÑএ নীতির প্রতি মানুষের ভুল ধারণা জন্ম দেবে।
একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধান অনুসারে সংবিধান ও আইনের রক্ষা এবং রাগ অনুরাগের বর্শবতী না হয়ে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করেন শপথ গ্রহণ করেন। শপথ শুধু একটি অনুষ্ঠানিকতা নয়, একটি দায়বদ্ধতা, অঙ্গীকারও। তাই একজন মন্ত্রী দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় অনেক রাষ্ট্রীয় সুবিধা পান। তাই আইন, সংবিধান ও নৈতিকতার প্রশ্নে মন্ত্রীর জবাবদিহিতা যে কোন সাধারণ মানুষের চাইতে বেশি হওয়া উচিত।
যদিও মাননীয় মন্ত্রী ইতোমধ্যে দুঃখপ্রকাশ করেছেন, ক্ষমা চেয়েছেন বলে বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তিনি স্বীকার করেছেন, অনুষ্ঠানস্থলে ধূমপান করা অনুচিত। এবং তিনি এ ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি অঙ্গীকারও করেছেন এরকম ঘটনা আর ঘটবে না।
আমরা মন্ত্রীর এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি, তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপনের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আইন বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবেন। পাশাপাশি নিজেকে তামাক বিরোধী আন্দোলনে জোরলোভাবে সম্পৃক্ত করবেন।