News
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে ১৪মে ২০২০ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনলাইন মানববন্ধন পালন করা হয়। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) ও এইড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং দ্য ইউনিয়নের সহযোগিতায় এ অনলাইন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের জন্য ‘কোভিড-১৯ এর আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় তামাকজাত দ্রব্যের ওপর উচ্চহারে করারোপ চাই’, ‘তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট কর’, ‘জীবন বাচাঁবে বাড়াবে রাজস্ব’, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের ওপর উচ্চহারে করারোপ চাই’- এসব শ্লোগান লেখা লিফলেট হাতে নিয়ে নিজ অবস্থান থেকে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেন অনেকে।
এতে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি), টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল, আশ্রয় সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, সিয়াম, সুবাহ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, মৌমাছি, সাফ, কেএনকেএস, পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (পাস), সুরঙ্গন সাংস্কৃতিক একাডেমি, গাংনী থিয়েটার, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, আইডাব্লিউবিসহ সারাদেশ থেকে বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করে। এছাড়া দেশের শতাধিক তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর সংগঠন ও সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
করোনার এই প্রভাবের মধ্যেই আগামী অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে তারা তামাক নিয়ন্ত্রণের কাজের অগ্রগতি বৃদ্ধি করতে এই অনলাইন মানববন্ধন করলেন।
আয়োজকরা বলছেন, এনবিআর প্রকাশিত গবেষণা গ্রন্থে তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের কথা বলা হয়েছে। তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনিদিষ্ট কর আরোপ হলে প্রায় ২০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ত্যাগে উৎসাহিত হবে। সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ চলতি অর্থবছরে চেয়ে ৪ হাজার ১০০ কোটি থেকে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বেশি রাজস্ব আয় হবে। যার হার বিড়ি ও সিগারেট থেকে প্রাপ্ত বর্তমান রাজস্বের চেয়ে অন্তত ১৪% বেশি। দেশের তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর দাবী করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে ও জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ করা হোক।