News
২০৪০ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত “তামাকমুক্ত বাংলাদেশ” বাস্তবায়ন করতে হলে তামাক ব্যবহার ০৫% এ নামিয়ে আনতে হবে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণে চলমান কার্যক্রম গতিশীল ও দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে তামাক বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। ২১ অক্টোবর, ২০২০ বেলা ১২টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান এর সাথে তামাক বিরোধী সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল স্বাক্ষাৎ করে উক্ত অনুরোধ জানান। অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) মো: মোস্তফা কামাল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তামাক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণে কিছু সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরা হয়;
- ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রণীত খসড়া বিধি চূড়ান্ত করা;
- জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রণীত খসড়া অর্গানোগ্রাম অনুমোদনে পদক্ষেপ গ্রহণ;
- স্বাস্থ্য উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুসারে খসড়া জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা;
- ২০২০-২১ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা;
- এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩-র খসড়া গাইডলাইন চূড়ান্ত করা;
- ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত করা;
- খসড়া জাতীয় তামাক নীতি চূড়ান্ত করা;
- ২০৪০ দেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা;
- খসড়া জাতীয় তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্ত করা;
- জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা;
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ এর নের্তৃত্বে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়ন এর কারিগরী পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, টোব্যাকো কন্টোল এন্ড রিসার্চ সেল’র সদস্য সচিব মো. বজলুর রহমান এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র কর্মসূচি ব্যবস্থপাক সৈয়দা অনন্যা রহমান।