বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে ১১ নভেম্বর ২০২০, সকাল ১১.০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি কোম্পানির প্রভাবমুক্ত রাখতে দ্রুত নঅতিমালা প্রণয়নের দাবীতে” মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিসমূহ তামাক কোম্পানীর প্রভাবমুক্ত রাখতে দ্রুত গাইডলাইন প্রণয়ণের দাবী করেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যয় বাংলাদেশেও তামাক নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করা হচ্ছে নানাধরনের পদক্ষেপ কিন্তু তামাক কোম্পানীগুলোর অযাচিত হস্তক্ষেপের ফলে কাংখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী যে অবস্থানে এসে দাড়িয়েছে সেখানে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক নীতিসমুহ তামাক কোম্পানীর প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, নাটাব, এইড ফাউন্ডেশন, টিসিআরসি, বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, ব্যুরো অব ইকোনোমিক রিসার্চ, ফাস্ট ফোকাস ট্রাস্ট, স্টপ এমিশনস নাও-বাংলাদেশ, ডাস, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর প্রতিনিধিসহ আরো অনেকে। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল, হেলাল আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা শুভ কর্মকার।
সভায় আলোচনা করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচী ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ সেল (টিসিআরটি) এর কর্মসূচী ব্যবস্থাপক ফারহানা জামান, ফাস্ট ফোকাস ট্রাস্টের প্রধান সুলতান মাহমুদ বান্না, ডাস এর প্রকল্প কর্মকর্তা ইমরান নাফিস, বাংলাদেশ গালস গাইড এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি কৃষ্ণা বসু প্রমূখ । কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন,তামাক কোম্পানীর নিজস্ব তথ্য বিশ্লেষণ, পর্যবেক্ষণ এবং গবেষনায় দেখা যায়, তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নানা রকম বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদাণ করেছে। এছাড়াও নানা কুটকৌশলের মাধ্যমে কোম্পানীগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন, আইন সংশোধন, সারচার্জ নীতি প্রণয়ন, কর বৃদ্ধি, মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানসহ তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রণীত সহায়ক নীতিসমূহ বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্থ করছে। এখনও তাদের নীতিতে হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
বক্তারা বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাকের ব্যবহার কমানো, অপরদিকে তামাক কোম্পানীগুলোর উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন ও ব্যবসার সম্প্রসারণ। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকার এবং তামাক কোম্পানীর উদ্দেশ্য ও নীতি সম্পূর্ণ বিপরীত। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যেসকল দেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি নীতি সুরক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছে। সে সকল দেশ তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার জন্য এফসিটিসির অনেক নির্দেশনা বাস্তবায়নে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। বক্তারা আরো বলেন, আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে, তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে, অনতিবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিসমুহ কোম্পানীর প্রভাবমুক্ত রাখতে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন প্রণয়নের বিকল্প নেই।