দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ধূমপানমুক্ত ঘোষণা, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে ভিসি অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ
Smoke free Jagannath University, WBB Trust, World Health Organization (WHO) on World No Tobacco Day-2010, anti tobacco, , Bangladesh anti tobacco alliance, tobacco control, BATA
বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় নিকোটিন, কার্বন মনোক্সাইড, ডিডিটি, আর্সেনিক, মিথানল, টারসহ চার হাজার (৪০০০) তিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। ধূমপান শুধু ধূমপায়ীরই ক্ষতিকরে না, আশেপাশের অধূমপায়ীদেরও ক্ষতিকরে। যারা ধূমপান করে না, তারাও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই আজ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ধূমপানমুক্ত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধূমপায়ী ছাত্রী-ছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরো ধূমপানের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষায় ৩১ মে, ২০১০ দুপুর সাড়ে ১২টায় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এ ঘোষণা দেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-এর মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। আলোচনা করেন দি ইউনিয়ন এর টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট ড. আকরামূল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর, প্ল্যানিং বিভাগের পরিচালক ড. জাহিদ হোসেন খান, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ছটকু আহমেদ, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সুজন।

ভিসি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কম জায়গায় বেশিসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাস। অল্পসংখ্যক ধূমপায়ীর কারণে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীকে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারি না। আজ থেকে কেউ যেন এখানে যেন ধূমপান না করে, সেটি সবাই খেয়াল রাখবে। 
 
ড. আকরামূল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম ধূমপানমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে। এটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার জন্য গর্বের। এ মহতী উদ্যোগ সফল করতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক, কর্মকর্তা-সবাইকে সক্রিয় থাকতে হবে। কেউ যেন ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ধূমপান না করে।
 
অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর বলেন, ধূমপান তরুণ প্রজন্মকে ভয়াবহ নেশার দিকে ধাবিত করছে। তাই ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধূমপান নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে নেশা কমে আসবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অপরাধ কমে আসবে। 
 
অনুষ্ঠানের আগে ও পরে বাউল দল ধূমপান ও তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বাউল গান পরিবেশন করে।