News
জনাব হাসান শাহরিয়ার তার বক্তব্যে বলেন, ২০৪০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি শিল্প মন্ত্রনালয় রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের তালিক থেকে তামাক কো¤পানির নাম থেকে বাদ দিয়েছে। টোবাকো ইনডেক্সের তথ্য মতে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সূচক ছিল ৬৮ তম এবং ২০২১ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৭২ তম। করোনা মহামারীর মধ্যে তামাক কো¤পানি তাদের ব্যাবসা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তামাক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে ছাড় পেয়েছে। তিনি জেটিআই ব্যাবসা সম্প্রসারণ করার জন্য কূটনীতিক সুবিধার আশ্রয় নিয়েছে। তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ বন্ধে তামাক কো¤পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ, সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার এবং আর্টিকেল ৫.৩ এর বাস্তবায়ন করতে সুপারিশ করেন।
ফাহমিদা ইসলাম বলেন, করোনা মহামারী দেশে ও দেশের বাহিরে তামাক কো¤পানির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আর্বিভূত হয়। এই
জায়েদ সিদ্দিকী বলেন, ঢাকা শরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে তামাক ক¤পানি তাদের ব্যাবসা প্রসারণের জন্য বিজ্ঞাপন ও উপঢৌকন এবং আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে। যার ফলে একদিতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ব্যহত হচ্ছে অপরদিকে রেষ্টুরেন্টে আগত তরুণরা তামাক ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য এতে দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে রেস্টুরেন্টগুলোকে শতভাগ বিজ্ঞাপন ও ধূমপানমুক্ত করা জরুরী।
ওয়েবিনারটি বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর ফেসবুক পেইজ হতে লাইভ সম্প্রচার করা হয়।সৈয়দা অনন্যা রহমান তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল বেশ কয়েক বছর আগে এফসিটিসি এর আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে একটি গাইড লাইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলো। দীর্ঘদিন ধরে গাইডলাইনটির কার্যক্রম থেমে আছে। কিন্তু তামাক কোম্পানীগুলোর নীতিতে প্রভাব বিস্তার থেমে নেই। কোভিড ১৯ এর কারনে সৃষ্ট মহামারীর সময়ও তারা বিশেষ সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকোর পাশাপাশি জাপান টোব্যাকো পুরোদমে ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করছে। বাংলাদেশে তামাক চাষের উন্নয়নে নতুন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এছাড়াও পুরাতন কিছু আইনে তামাক কোম্পানীর জন্য সুবিধা বিদ্যমান রয়ে গেছে। এ বিষয়গুলো সংশোধন করে যুযোপযোগী করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরী।