বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের ইতিহাস ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট একটি সামাজিক আন্দোলন, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ৭০০-র বেশি সংগঠন। এই সংগঠনগুলো দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনকে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ , যা ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টাবর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সরকারের সহায়ক শক্তি হিসাবে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন প্রণয়ন, সংশোধন, তামাকের কর বৃদ্ধি, তামাক চাষ নিণয়ন্ত্রণ, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং, বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের জাতীয়/জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করছে জোট।

বাংলাদেশের তামাক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, স্বাধীনতার পরপরই কয়েকজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সমাজ সেবকের স্ব-উদ্যোগে সীমিত পরিসরে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু হয়। খ্যাতনামা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ ফজলুল হক এর নেতৃত্বে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ততদিনে পৃথিবীতে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসাবে ধূমপান চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া ধূমপান ও চর্বনযোগ্য তামাক সেবনের কারণে মুখগহ্বরের বিভিন্ন ক্যান্সার হয় বিধায় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ধূমপান ও তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে প্রচারণা শুরু করে।

তবে পূর্ব-পাকিস্তান আমলে ধূমপান বিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করে পূর্ব পাকিস্তান এন্টি টিউবরকুলোসিস এসোসিয়েশন, যা স্বাধীনতার পর নাম পরিবর্তন করে ন্যাশনাল এন্টি টিউবরকুলোসিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নাটাব) বা জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি নামধারণ করে। মূলত, যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও যক্ষ্মা প্রতিরোধে নাটাব কাজ করলেও যক্ষ্মা রোগীদের ধূমপান মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই ধূমপানের ক্ষতিকর বিষয়েও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে শামিল হয় নাটাব।
১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনশান এন্ড সোস্যাল মেডিসিন (নিপসম) প্রথমবারের মত তামাক নিয়ন্ত্রনে জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করে। এ সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। অনেক উন্নত দেশেও এ সময়ে সরকারিভাবে এরকম কর্মসূচির উপস্থিতি দেখা যায় না। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান নিয়ন্ত্রণ, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি জাতীয় পর্যায়ের উপদেষ্টা পরিষদ ও টাস্কফোর্স গঠন, গণমাধ্যমে ধূমপানের ক্ষতিকর বিষয়ে প্রচারণা বৃদ্ধি, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ধূমপান ত্যাগ ও রোগীর সামনে ধূমপানের উপর নিষেধাজ্ঞা, সব হাসপাতাল এবং সব গণপরিবহন ও জনসমাগমস্থলে ধূমপানমুক্ত এলাকা সাইন স্থাপন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) পাঠ্যসূচিতে তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে প্রবন্ধ সংযুক্ত, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ধূমপানের ক্ষতিকর বিষয়ে প্রচারণার জন্য দায়িত্ব প্রদান, তামাকের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে আইন প্রণয়ন, তামাক আমদানী নিষিদ্ধ, প্রতিবছর তামাক বিরোধী সপ্তাহ পালন, খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে তামাক চাষ নিরুৎসাহ, তামাকের উপর কর বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ উপস্থাপিত হয়। পরবর্তী সময়ে রহস্যজনকভাবে নিপসম এর এই সম্মেলনের সুপারিশগুলো হারিয়ে যায়। এ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সরকার কোন কাজ করেছে বলে প্রতীয়মান হয় না।

১৯৮৬ সালে লায়ন সি জি এম কামালসহ লায়নদের কয়েকজনসহ বিভিন্ন অঙ্গনের স্বেচ্ছাসেবীরা একত্রিত হয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জাতীয় অধূমপায়ী ফোরাম’। এ সংগঠনের কার্যক্রম বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠন স্বল্প সময়ে বেশ কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় শাখা সংগঠন গড়ে তোলে। আরেকটি কারণে এ সংগঠনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, সেটা হচ্ছে চিকিৎসকদের বাইরে এটি প্রথম ধূমপান বিরোধী সংগঠন।

তবে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিসাবে ৩১ মে নির্ধারণ করে, যা পরবর্তী বছর থেকে উদযাপিত হয়ে আসছে। এ সময়, ৮৭ সালে তৎকালীন পিজি (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল) হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল ইসলাম এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘আধূনিক’ (আমরা ধূমপান নিবারন করি)। ‘আধূনিক’ খুব স্বল্প সময়ে অনেক জেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গঠিত হয়। ‘আধূনিক’ ধূমপানের ক্ষতিকর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুারুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১৯৮৮ সাল থেকে দেশে ক্ষুদ্র পরিসোর হলেও সরকারি-বেসরকারিভাবে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন শুরু হয়। ৯০ দশকে এসে অনেকগুলো সংগঠন তামাক বিরোধী কাজে যুক্ত হয়। এর মধ্যে ডা. অরূপ রতন চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ‘মানস’ (মাদক ও নেশা নিরোধ সংস্থা) ও পুরোনো ঢাকার তারুণ্যনির্ভর প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন অন্যতম। আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি ধূমপান বা তামাক নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে ‘আমিক’ (আহছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র) কর্মসূচির নামে ঢাকা আহছানিয়া মিশন, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) অন্যতম। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি সংগঠন তামাক বিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত হয়, এদের মধ্যে ঘাস ফুল নদী, বাদসা, মানবিক, অন্যতম।

চট্টগ্রামে ইয়ং পাওয়ার ইন সোস্যাল একশান (ইপসা) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে তামাক বিরোধী কাজ শুরু করে। এছাড়া নওজোয়ান, শাপলা শালুকের আসর (ভয়েজ অব ডিসকভারির সময় অত্যন্ত সক্রিয় সংগঠন)সহ আরো কয়েকটি সংগঠনের কাজ লক্ষ্য করা যায়। ১৯৯৮ সালের শেষদিকে প্রতিষ্ঠালাভ করে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ধারাবাহিকভাবে তামাক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

১৯৯৯ সালে ভয়েজ অব ডিসকভারী নামক বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির গোল্ডলীফ সিগারেটের প্রচারণা কার্যক্রম প্রতিহত করতে গিয়ে বেসরকারি সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৯৯ সালের পর ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। সম্মিলিতভাবে তামাক বিরোধী সংঠনগুলো ভয়েজ অব ডিসকভারি এর আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে পোস্টার-লিফলেট-র‌্যালি-অবস্থান কর্মসূচি ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রচারণা চালায়। পাশাপাশি আইনী প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির এ মৃত্যুতরীকে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ত্যাগে বাধ্য করে। ‘বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট’ প্রতিষ্ঠার পূর্বে দেশে তামাক বিরোধী কার্যক্রম বিদ্যমান থাকলেও ১৯৯৯ সালের পর থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে আন্দোলন জোরদার হয়।

২০০০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়া কার্যালয়ের উদ্যোগে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ধূমপান ও তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য South East Asian Anti Tobacco (SEAAT) Flame নামে প্রচারণা কর্মসূচি গ্রহণ করে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট যৌথভাবে সিয়াট ফ্লেম এর প্রচারণার জন্য সারাদেশ প্রদক্ষিণ করে। দু’মাসব্যাপী এ প্রচারণায় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর একটি গণসঙ্গীতের দল সব জেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে গণসঙ্গীত পরিবেশন ও প্রচারণা উপকরণ বিতরণ করে, যা বাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া জাগায়। ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক পরিসরে মাসব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন করে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।

তামাক ব্যবহার বিশ্বে রোগ ও অপমৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে চিহ্নিত হয়ে আসছে। বিগত কয়েকবছর যাবত তামাক ব্যবহার দারিদ্রতা সাথে সম্পৃক্ততা ধারণাটি বিকাশ লাভ করেছে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ Hungry for Tobacco: An analysis of the economic impact of tobacco on the poor in Bangladesh Hungry for Tobacco: An analysis of the economic impact of tobacco on the poor in Bangladesh নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ গবেষণায় দেখানো হয় দরিদ্র জনগণ তামাকের পেছনে যে পরিমান অর্থ ব্যয় করে তার ৭০ শতাংশ খাদ্য ক্রয়ে ব্যয় করলে ১০.৫ মিলিয়ন শিশুকে পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করা সম্ভব। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশে গবেষণা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৪ সালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য হিসেবে তামাক ও দারিদ্রতাকে গ্রহণ করে।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া ২০০০ সাল থেকেই শুরু হয়। বিশেষ করে, ভয়েজ অব ডিসকভারি সংক্রান্ত রিটের রায়ে মহামান্য হাইকোর্ট জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করার জন্য সরকাকে নির্দেশনা দেয়। তখন থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের জন্য কাজ শুরু হয়। স্থানীয় পর্যায়ে তামাক বিরোধী আন্দোলন জোরালো করতে সারাদেশের বেসরকারি সংগঠনকে যুক্ত করার লক্ষ্যে ২০০১-০২ সালে সব বিভাগে কর্মশালা ও ২০০৩ সালে প্রথম জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এসব কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের দাবিতে করণীয় সম্পর্কে দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত কফিন র‌্যালি সারাদেশে আইনের দাবিতে সমর্থন বৃদ্ধি করে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে প্রণীত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিল বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। দেশেও এফসিটিসি নিয়ে উপকরণ প্রকাশ ও বিতরণের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে সেমিনার ও সভা আয়োজন করা হয়। এসব কর্মসূচিতে এফসিটিসির আলোকে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিই জোরালোভাবে তুলে ধরে। ২০০৩ সালে এফসিটিসিতে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ এবং ২০০৪ সালে র‌্যাটিফাই করার পর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠে। এ সময় গণমাধ্যম আন্তরিক সমর্থন প্রদান করে।

২০০৫ সালের মার্চ মাসে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ পাস হয়। এ আইনের আলোকে ২০০৬ সালে বিধিমালা জারি করা হয়। এ আইন বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। স্থানীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, আইন মনিটরিং ও বাস্তবায়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে। ২০০৭ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটকে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স গঠন করে। টাস্কফোর্স গঠনের পর সরকারি – বেসরকারি সংগঠনের যৌথভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সুযোগ বৃদ্ধি পায়। যা দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আজকের অবস্থায় নিয়ে এসেছে।***