News
তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান বিশ্বব্যাপি তামাকের আগ্রসান রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ ইতোমধ্যেই তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান করেছে। বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি’তে ইতোমধ্যে স্বাক্ষর করেছে। তারপরও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদানে বাংলাদেশ এফসিটিসি’তে স্বাক্ষরকারী অনেক দেশ হতে পিছিয়ে আছে। ১৯ মার্চ, ২০১৬ হতে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী আসছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানীর বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করতে তামাক কোম্পানীগুলো নানান ভাবে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। যা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পরিপন্থি।
তামাক কোম্পানীগুলোর কুট-কৌশল রুখতে ১৯ মার্চ, ২০১৬ থেকে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানীর বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ জরুরী। এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের একটি প্রতিনিধি দল ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ডা: মো: আব্দুল মালেক মৃধা, সিভিল সার্জন, ঢাকা এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক জনাব মো: তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: মজিবর রহমান এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, জনস্বার্থে রাষ্ট্রের আইন বাস্তবায়নের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট সময়ে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানীর বিধান বাস্তবায়ন কার্যক্রম গতিশীলকরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণের নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা, শারমিন আক্তার, ফাহমিদা ইসলাম, নাটাব’র নেটওয়ার্ক অফিসার মো: মঈনউদ্দিন, মানবিক’র তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা, সুমন শেখ, টিসিআরসি’র সহকারী গবেষক মো: মহিউদ্দিন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান, সহকারী নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা শুভ কর্মকার প্রমূখ।