News
তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল থেকে তরুণদের রক্ষা করে তামাক ও নিকোটিন ব্যবহার থেকে তাদের বিরত রাখার দাবিতে দুই দিনের অনলাইন পোস্টার ক্যাম্পেইন আয়োজন করে তামাক বিরোধী জোট ও কয়েকটি তামাক বিরোধী সংগঠন। ২৩মে শনিবার বেলা ১১টা থেকে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়। সারাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত ও জোটভুক্ত সংগঠন ও সাধারণ মানুষ এ ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়। ২৪ মে রোববার এই ক্যাম্পেইন শেষ হয়।
৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এবারে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের শ্লোগান ‘তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল থেকে তরুণদের রক্ষা করে তামাক ও নিকোটিন ব্যবহার থেকে বিরত রাখুন’। দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসাবে এই স্লোগানকে উপজিব্য করে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি, এইড ফাউন্ডেশন, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট সম্মিলিতভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালে তামাকজনিত রোগে দেশে ১ লাখ ২৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তারা তরুণদেরকে টার্গেট করেছে। ভবিষ্যতে এ মৃত্যু যাতে আরো দীর্ঘ না হয় সেজন্য তামাক থেকে তরুণদের দূরে রাখতে হবে।
বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের ৩৫ শতাংশ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে এখনই আমাদের যথাযথ পদক্ষেপ হাতে নিতে হবে। কিন্তু তার জন্য তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল অন্যতম বড়ো বাঁধা। তরুণদেরকে তামাক থেকে দূরে না রাখতে পারলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়বে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয়ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। সুতরাং তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল চিহ্নিত ও প্রতিহত করার জন্য সুনির্দিষ্ট পলিসি প্রণয়নের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুরু হওয়া এ অনলাইন পোস্টার ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীদের পৃথকভাবে ‘তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল থেকে তরুণদের রক্ষা করে তামাক ও নিকোটিন ব্যবহার থেকে বিরত রাখুন’ লেখা শ্লোগান সম্বলিত লিফলেটের সমন্বয়ে তৈরি পোস্টারের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। একইসঙ্গে অনলাইন ক্যাম্পেইনে দেশে ভবিষ্যত প্রজন্মের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে তামাকে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবি জানিয়েছে তারা। তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনিদিষ্ট কর আরোপ হলে প্রায় ২০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ত্যাগে উৎসাহিত হবে। একইসঙ্গে সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ চলতি অর্থবছরে চেয়ে ৪ হাজার ১০০ কোটি থেকে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বেশি রাজস্ব আয় হবে। যার হার বিড়ি ও সিগারেট থেকে প্রাপ্ত বর্তমান রাজস্বের চেয়ে অন্তত ১৪% বেশি বলেও জানিয়েছে তারা।