News
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের উদ্যোগে ৯ জুলাই, ২০২০ সকাল ১১টায় অনলাইনে একটি “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দি ইউনিয়নের সহায়তায় আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় দেশের ৮টি বিভাগ থেকে ৮০টি বেসরকারী সংগঠনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত ধারা ৫ বাস্তবায়নের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ক নির্দেশিকা প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মূল প্রবন্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ই-মোবাইল কোর্ট, ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি এবং তামাক পণ্য বিপণনে লাইসেন্সিং প্রথা’র উপর বিস্তারিত আলোচনা ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন আলোচকবৃন্দ।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি ইউনিয়নের কারিগরী পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আলোচনা করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম বকুল, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি’র নির্বাহী পরিচালক একেএম মাকসুদ, ইয়ং পাওয়ার ইন সোস্যাল এ্যাকশন (ইপসা) এর তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের টিম লিডার নাছিম বানু শ্যামলী। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচী ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন। এতে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর নির্বাহী পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন।
তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন মাধ্যম তামাক নিয়ন্ত্রনে একটি শক্তশালী হাতিয়ার। এক্ষেত্রে সকলের অংশগ্রহণ ও সমন্বয়ের দিকটিতে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।
কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞগণ বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রমোশন ও স্পন্সর নিষিদ্ধ হলেও তামাক কোম্পানিগুলো নানা কৌশলে জনগনকে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উৎসাহিত করে আসছে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাকের ব্যবহার কমাতে হলে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত ধারার প্রয়োগ যথাযথ হওয়া জরুরী। আইন বাস্তবায়নে বিগত দিনে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো সরকারের সাথে সহায়তার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতার আলোকে স্থানীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরো গতিশীলতা পাবে। কর্মশালায় কাজী মোহাম্মদ হাসিবুল হক (এইড ফাউন্ডেশন) ই-মোবাইল কোর্টের কারিগরী দিকগুলো উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় ডাস বাংলাদেশ, সতিশা যুব ও কিশোর সংঘ, প্রজন্ম, রানী, সাফ, ধ্রুব ফাউন্ডেশন, উপমা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, ডিডিপি, পিডিএস, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, সিয়াম, মৌমাছি, ইপসা, নাটাব, আবাস, সিডাস, ইন্সটিটিউট অব ওয়েলবিং, দুঃস্থ মানবতার সেবা সংস্থা, আবসা, অগ্রদূত, শুচীতা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, টিপিডিও, আদর্শ মানবসেবা সংস্থা, পল্লী সাহিত্য সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটি বাংলাদেশ, লফস, বৃত্ত ফাউন্ডেশন, জান্নাতী মহিলা উন্নয়ন সমিতি, আশ্রয়, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, এইড ফাউন্ডেশন, টিসিআরসি, ব্যুরো অব ইকোনোমিক রিসার্চ, বিএনটিটিপি, এইড ফাউন্ডেশন, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, আরডিসি, দাপুস, কাড়াপাড়া নারী কল্যাণ সংস্থা, এইড ফাউন্ডেশন, পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, আত্ব উন্নয়ন সংস্থা, সেতু, উশিকা সমাজ কল্যাণ সংস্থা, সাস, আশ্রয় সমাজ উন্নয়ন সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।