প্রবন্ধ ও সাক্ষাৎকার
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এর মাঝেও পুলিশ বাহিনীর অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশ ইতোপূর্বে অনেক ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। গত ১৪ এপ্রিল ২০১১ অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জনস্বার্থে নববর্ষের জনসমাগমস্থলকে ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগ দেশের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপের পর দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলাও নববর্ষের মেলা/ অনুষ্ঠান ধূমপানমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আজকে রমনা মডেল থানা ধূমপানমুক্ত করনের মাধ্যমে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি তা দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্ত হবে।
ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ:
১. ৩১ মে ২০১০ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর ধূমপানমুক্ত ঘোষণা। পরবর্তীতে মেট্রোপলিটন থানা, ফাঁড়িসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল স্থাপনা ধূমপানমুক্ত করা;
২. বাংলাদেশে পুলিশের উদ্যোগে সারা দেশের থানা, ফাঁড়ি, চেকপোষ্ট ও পুলিশের অন্যান্য কার্যালয়গুলো ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা;
৩. রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক রেল ধূমপানমুক্তকরণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা;
৪. মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা;
৫. পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্ত করতে এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন অপসারণের লক্ষ্যে প্রশাসনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন অপসারণে গৌরিপুর থানার উদ্যোগ গৌরিপুর এলাকায় একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধিরা আইনভঙ্গ করে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ও তামাক নিয়ন্ত্রণকর্মীরা তাদের বিজ্ঞাপনসহ আটক করে পুলিশকে অবহিত করে। গৌরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খবর পেয়ে তক্ষৎনাৎ ফোর্স প্রেরণ করে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের ভুল স্বীকার করার প্রেক্ষিতে তাদের মুচলেখা দিয়ে মুক্তি পায়। পুলিশের এ উদ্যোগের প্রেক্ষিতে অত্র এলাকায় কোম্পানিগুলো আইনভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন প্রচারের সাহস পায়নি। বাংলাদেশের অসংখ্য এলাকায় পুলিশ কর্তৃক এধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যগন কি ধরনের ভূমিকা রাখতে পারেন;
- বাংলাদেশ পুলিশের নির্দেশনা অনুসারে থানায় ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন ও ধূমপানমুক্ত করা।
- তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পুলিশ কর্মকর্তার করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পুলিশদের দক্ষতা বৃদ্ধি।
- পাবলিক প্লেস বা পরিবহনে ধূমপানমুক্ত আইন বাস্তবায়নে পুলিশের করণীয় সম্পর্কে কর্মকর্তাদের অবহিত করা।
- নিয়মিত টহলদার পুলিশের আইনভঙ্গ হচ্ছে কি না তা মনিটরিং এর দ্বায়ীত্ব প্রদান।
- আইন ভঙ্গের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা ও থানা পর্যায়ের সকল পুলিশ সদস্যকে নির্দেশ প্রদান।
- তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ সংক্রান্ত কোন বিষয় নজরে এলে তা সভায় উপস্থাপন করা।