News
তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ করে করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি অনেকখানি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব বলে মনে করেন তামাক বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ২৭ এপ্রিল ২০২০ ‘করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের প্রস্তাবনা’ শীর্ষক লাইভ ওয়েবিনারে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য এড. ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, করোনাকালে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে সেটা পূরণের জন্য তামাকজাত দ্রব্যে করারোপ করলে সেটা অনেকখানি পোষানো সম্ভব। তবে এজন্য একটি সুনির্দিষ্ট তামাক কর নীতি প্রণয়ন করে তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা কাটিয়ে উঠতে সারাদেশে যেসব জমি চাষহীন অবস্থায় রয়েছে সেগুলোতে ফসল ফলাতে হবে। তবে কোনোভাবেই উর্বর জমিতে তামাক চাষ করা যাবে না।
লাইভ ওয়েবিনারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের অধ্যাপক ড. নাসিরুদ্দীন আহমেদ বলেন, এনবিআর প্রকাশিত একটি গবেষণা গ্রন্থে বিড়ির ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপের কথা বলা হয়েছে। ফলে সিগারেটেও সুনির্দিষ্ট করারোপের ক্ষেত্রে কোনো আইনগত জটিলতা নেই। বরং করোনাকালে বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতি পোষাতে এটা কার্যকর করা ভীষণ জরুরি।
ওয়েবিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য তামাকে একটি সুনির্দিষ্ট কর প্রস্তাব তুলে ধরেন। একইসঙ্গে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাক মুক্তকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন তিনি। দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় এ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) এবং বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) যৌথভাবে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে। আয়োজনে তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরেন।