News

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি তামাক কোম্পানিকে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করার নীতি গ্রহণ করেছে। ২৩ মার্চ (শনিবার) ২০২৪ , সকাল ১১ টায় রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি’র কার্যালয়ে তামাকের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সার্বিক জনস্বাস্থ্য জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পৃথিবীর বহূল স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি এর আটিক্যাল-৫.৩ কে সমর্থন জানিয়ে “কোড অব কনডাক্ট” স্বাক্ষর করে । বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি , বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সম্মিলিত আয়োজনে এ কর্মসূচীটি বাস্তবায়িত হয়। উল্লেখ্য জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি এর অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুযায়ী তামাক কোম্পানির স্বার্থ থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি ও পদক্ষেপসমুহরে সুরক্ষায় দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের ধরনের গাইডলাইন প্রণয়নে এক ধরনের নৈতির বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি’র সভাপতি বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা: গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক এর নেতৃত্বে সংস্থাটি উক্ত কোড অব কনডাক্ট গ্রহণ করে ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সচিবালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দা অনন্যা রহমান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব, নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা আজিম খান ও সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।
উক্ত অনুষ্ঠানে অয়োজকরা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়নে কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণে পদক্ষেপ গ্রহনের উপর গুরুত্বারোপ করা এখন সময়ের দাবী। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার দেশে আইন ও সহায়ক নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলস্বরূপ জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলেও এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যান্সার ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগীর সংখ্যা।
গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ সিগারেট, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। ধোঁয়াবিহীন এবং ধোঁয়াযুক্ত উভয় তামাকজাত দ্রব্যই ক্যান্সারের জন্য দায়ী।এছাড়াও তামাক নিয়ন্ত্রণে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি নতুন পলিসি তৈরির ক্ষেত্রেও কোম্পানিগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ফলে তামাকের ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত হারে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না । এমতাবস্থায় বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্যান্সারের প্রকোপ, হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে সার্বিক জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি।৫.৩ অনুসারে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি’ নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করবে:
· নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩ সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান, সচেতনতা বৃদ্ধি।
· প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাক কোম্পানি বা কোম্পানি সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা গ্রহণ, প্রদান ও অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবে।
· নিজের প্রতিষ্ঠানে তামাক কোম্পানির সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির নামে প্রচারণা অনুমতি প্রদান না করা।
· সকল বিভাগ ও কার্যালয় সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকবে।
· অন্যান্য সংস্থাসমূহকে এফসিটিসি-র আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়নে উদ্ধুদ্ধ করার পাশাপাশি কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করবে।
· তামাক কোম্পানির স্বার্থে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সুবিধা পেয়েছেন, এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হবে না।