News
ই-সিগারেট আগামী প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করতে তামাক কোম্পানির নতুন কৌশল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ই-সিগারেট বা ভেপিং আরো বেশি ক্ষতিকর। সরকার ই-সিগারেট নিষিদ্ধের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা প্রশংসনীয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে, আর সেই লক্ষ্যে তামাকের মতো ক্ষতিকর দ্রব্য হতে জনগণকে বিরত রাখা জরুরি। আজ ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার সকাল ১১.০০টায় ডাব্লিউবিব ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকক্ষে “Importance of Banning E-Cigarettes in Bangladesh”শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। টোব্যাকো কন্ট্রোল এ্যান্ড রিসার্স সেল (টিসিআরসি) ও বাংলাদশে তামাক বিরোধী জোট যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চ এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল এর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক (বাংলাদেশ) এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এর অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জনাব রখফার সুলতানা খানম, ভাইটাল স্ট্রাটিজিস এর হেড অফ প্রোগ্রামস (বাংলাদেশ) মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক জনাব ইকবাল মাসুদ ও প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল জনাব হেলাল আহমেদ। এছাড়াও সভায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো সিগারেটের বিকল্প হিসাবে ই-সিগারেটে আসক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন মিথ্যাচার করছে। দীর্ঘমেয়াদী ভোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে তাদের মূল টার্গেট তরুণ প্রজন্ম। সম্প্রতি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ সংশোধনের খসড়ায় ই-সিগারেটের উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করা হয়েছে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের পূর্বে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে এখনই ই-সিগারেট, ভেপিংয়ের মতো পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
রখফার সুলতানা খানম বলেন, সকল ধরণের তামাক শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তরুণদের তামাক ব্যবহার হতে দুরে রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে |জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সাথে কাজ করা জরুরী।
ইকবাল মাসুদ বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট কোনো দিক দিয়েই কম ক্ষতিকর নয়। ই-সিগারেট বন্ধে তিনি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কর্মরত ব্যক্তিদের সাথে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ই-সিগারেটের ব্যবহার খুব দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সত্যিই ভয়াবহ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পাশাপাশি অন্য কোন কোন উপায়ে এই পণ্য নিষিদ্ধ করা যায় এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সাথে নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।
জনাব সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ই-সিগারেট তামাক কোম্পানির ব্যবসা প্রসারের একটি নতুন কৌশল। এতে নিকোটিনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য লিকুইড ব্যবহার করা হয়। পরিশেষে তিনি স্বাস্থ্যহানিকর সকল পণ্য নিয়ন্ত্রণে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।