News
তামাকজাত পণ্যকে বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক পণ্য হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করা হবে -মতবিনিময় সভায় বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক
তামাক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এজন্য সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট আন্তরিক। তামাকের ব্যবহার কমাতে সচেতনতা জরুরি। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণে বহুমুখী পদক্ষেপ প্রয়োজন। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডাডর্স এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) সরকারি একটি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে বিএসটিআই’র তালিকাভূক্ত ১৫৪টি পণ্য রয়েছে, যে পণ্যগুলোর গুণগত মান নীরিক্ষা ও অনুমোদন করে। তামাক আমাদের বাধ্যতামূলক পণ্য নয় বিধায় এসব পণ্যের মান আমরা নীরিক্ষা করি না। তবে তামাক যেহেতু বহুল ব্যবহৃত একটি ক্ষতিকর পণ্য, তাই এ পণ্যকেও বাধ্যতামূলক করা যাবে। এছাড়া তামাকজাত পণ্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ প্রদানের বিষয়টিও যাচাইবাছাই করে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
১৮ জুন, ২০১৭ সকাল ১১টায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট’র একটি প্রতিনিধি দল বিএসটিআই মহাপরিচালকের সাথে তাঁর কার্যালয়ে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন সংস্থার মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিব।
এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের মুখপত্র ‘সমস্বর’ এর নির্বাহী সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুজন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, মিডিয়া এডভোকেসী অফিসার সৈয়দ সাইফুল আলম, এইড ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক সমন্বয়কারী মো. রবিউল আলম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান টিসিআরসি’র প্রকল্প কর্মকর্তা ফারহানা জামান লিজা, মো. মহিউদ্দিন, প্রদেশের এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান। এসময় বিএসটিআই এর পরিচালক (স্ট্যান্ডার্ড) আ.ন.ম আসাদুজ্জামান, পরিচালক (সিএম) এসএম ইসহাক আলী, সহকারী পরিচালক (সিএম) এস এম আবু সায়ীদ উপস্থিত ছিলেন।
আমিনুল ইসলাম বকুল বলেন, তামাক বহুল ব্যবহৃত ক্ষতিকর পণ্য। দেশের প্রাপ্তবয়সী জনগোষ্ঠীর ৪৩.৩% মানুষ তামাক ব্যবহার করে। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে তামাক থেকে নিরুৎসাহিত করতে বিএসটিআই’কে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে, বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক পণ্য হিসাবে তামাককে অন্তভূক্ত করে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ বসানো দরকার। এতে দেশে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর ধারা বাস্তবায়ন সহজ হবে।