মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানস্থল ধূমপানমুক্ত ঘোষণা: জোটের ধন্যবাদ জ্ঞাপন
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামগ্রীক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন সংক্রান্ত সকল অনুষ্ঠানস্থল ধূমপানমুক্ত ঘোষণা ও দৃশ্যমান সাইনেজ স্থাপন করা হয়েছে। প্রসংশনীয় ও দৃষ্টান্তমূলক এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২৩ মার্চ, ২০২১ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী মিলে ২০২০-২১ সমগ্র বাঙ্গালী জাতির জীবনে ঐতিহাসিক ও গৌরব উজ্জল বছর। করোনা সংক্রমণের ফলে তাৎপর্যপূর্ণ এ সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে সীমিত পরিসরে। এসকল অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত ও সফল্যমন্ডিত করতে উপস্থিত থাকছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান ও প্রতিনিধিবৃন্দ। রাষ্ট্রীয় এ সকল অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবীদার।

সুস্থ্য সবল জাতি গঠনের উদ্দেশ্যে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরী। বিষয়টি বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। যা আন্তর্জাতিক বিশ্বে অত্যন্ত প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে কাংখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ অনুষ্ঠান ধূমপানমুক্ত রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
 
উল্লেখ্য, জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে মানুষকে পরোক্ষ ধূমপান থেকে রক্ষা এবং অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি থেকে জান-মালের সুরক্ষা নিশ্চিতে ঐতিহাসিক ও গৌরব উজ্জল ‘শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী’র সকল অনুষ্ঠানস্থল ধূমপানমুক্ত ঘোষণা এবং বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বিগত দিনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।
 
ইতোপূর্বে দেশে বাংলা বর্ষবরণ, একুশে বইমেলা প্রাঙ্গন ও অনুষ্ঠানস্থল ধূমপানমুক্ত ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের নজির রয়েছে। ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ অনুষ্ঠান ধূমপানমুক্ত ঘোষনা সরকার ও গণমানুষের জন্য আরেকটি মাইলফলক ও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ। 
 
বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে স্বাধীনতাত্তোর দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে সাফল্যের শুরু হয়েছে, তামাক নির্মূলের ন্যায় এ ধরনের কর্মসূচীর মাধ্যমে তা আরো সাফল্যময় হবে বলে আশাবাদী তামাক বিরোধী জোটের নেতৃবৃন্দ।