News
বাংলাদেশে সরকারীভাবে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়। কিন্তু, সরকারীভাবে এখনো জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয় না। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট দেশব্যাপী জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন করে আসছে। সারাদেশে বিগত বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, কর বৃদ্ধি, ধূমপানমুক্ত স্থান বৃদ্ধি, প্যাকেটের গায়ে সচিত্র স্বাস্থ্যসতর্কবানী প্রদান, তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সভা, সেমিনার, অবস্থান কর্মসূচি, র্যালীসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে আসছে। এ বছরও দিবসটিকে সামনে রেখে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণে যে অজর্ন তা সকলের সম্মিলিত কার্যক্রমের ফসল। দেশে তামাক বিরোধী জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক, সরকারী, বেসরকারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
এবং গণমাধ্যমগুলো নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত নীতিগত পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে সুদৃঢ় করেছে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা প্রত্যয় বাস্তবায়নে এ ক্ষেত্রে আরো অধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের পাশাপাশি জাতীয় তামাকমুক্ত দিবসটি গুরুত্বসহকারে উৎযাপন করা জরুরী। উল্লেখ্য দেশে ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যা শিশু দিবস, ২৪ আগষ্ট জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস, ১ নভেম্বর সমবায় দিবস, ২
ফ্রেরুয়ারী জনসংখ্যা দিবস, ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস জাতীয়ভাবে পালন করা হয়। যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিষয়গুলোকে অধিক গুরুত্বপূর্ন করে তোলে।
তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গতিশীল করতে সরকারীভাবে ০৯ অক্টোবরকে জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস ঘোষনা এবং প্রতিবছর যথাযথ মর্যাাদার সাথে পালনের সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।