News
সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি পাস; মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ধন্যবাদ জ্ঞাপন


সম্প্রতি তামাক কোম্পানিগুলোর কূট-কৌশল প্রতিহত করে জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে “স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি-২০১৭” পাস হয়েছে। উক্ত নীতিটি পাস হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। বক্তারা বলেন, সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি প্রণয়নের পরবর্তীতে এমূহূর্তে দেশে ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি।
১৯ অক্টোবর ২০১৭ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট’র আয়োজনে “স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি” পাস হওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তামাক নিয়ন্ত্রন কর্মীরা।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী এবং প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এধরনের উদ্যোগ নেয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক সংগঠন দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সিটিএফকে’র প্রোগ্রাম অফিসার আতাউর রহমান মাসুদ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অফিসার ডা. শামীম যুবায়ের, মডার্ণ ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসনাত, টিসিআরসি’র প্রকল্প কর্মকর্তা ফারহানা জামান লিজা, তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর সদস্য রোকেয়া বেগম, এইড ফাউন্ডেশনের ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা কাজী মো. হাসিবুল হক, তরুণ নেতৃত্ব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী প্রমূখ। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান।
এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যে সারচার্জ আরোপ এবং এ খাত হতে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার লক্ষে “স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি-২০১৭” পাশ একটি যুগপোযোগী ও প্রসংশনীয় উদ্যোগ। আমরা আশা করি, সরকার স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ থেকে প্রাপ্ত অর্থে অবিলম্বে ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এটি একটি বিশাল মাইলফলক। তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের জন্য এটি অনেক বড় অর্জন। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত অন্যান্য নীতিসমূহ অনতিবিলম্বে অনুমোদন করা হলে ২০৪০ সালের আগেই ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, তামাক কোম্পানীগুলো যেভাবে আইন বাস্তবায়ন এবং নীতি প্রণয়নের কার্যক্রমকে বাধাঁগ্রস্থ করছে অতিদ্রুত তামাক কোম্পানীর কুটকৌশল প্রতিহত করার জন্য এফসিটির এর আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরী।
আতাউর রহমান মাসুদ বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকার ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে তামাকজাত দ্রব্যের উপর ১% সারচার্জ আরোপ এবং সম্প্রতি এজন্য নীতি পাস করেছে করে। তামাক কোম্পানি যেন জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন নীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে তা প্রতিহত করতে হবে।
হেলাল আহমেদ বলেন, সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যেও প্রকৃত মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চহারে করারোপ করা জরুরী। তামাক নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ ধরনের উদ্যোগ উদ্যোগ গ্রহণ করায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগসহ সন্মানিত কেবিনেটের সকল সদস্য, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, বেসরকারী পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সকল সংস্থা, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
কর্মসূচিতে হিল এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জেবুন্নেসা চৌধুরী, কাটনারপাড়া নারী উন্নয়ন সংস্থা লতিফা ইয়াসমিন লাভলী, বাঁচতে শিখ নারী’র নির্বাহী পরিচালক ফিরোজা বেগম, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং এর মাসুম বিল্লাহ ভুঁইয়া, মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।