News
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটকে তামাকের কর বৃদ্ধির প্রস্তাবনা প্রেরণের অনুরোধ

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট’র একটি প্রতিনিধি দল ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ সকালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ এর সাথে স্বাক্ষাৎ করে। স্বাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির সাথে সম্পর্ক তুলে ধরে এক্ষেত্রে তামাকের প্রভাব বিষয়ে গবেষণা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ এবং তামাকের প্রকৃত মূল্য ও কর বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বরাবর সুপারিশ প্রেরণের অনুরোধ জানানো হয়। এসময় তামাক কোম্পানি কর্তৃক বিভ্রান্তকর তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নীতিতে প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
যমুনা টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা বলেন তামাক কোম্পানিগুলো নানাভাবে নীতি নির্ধারকদের বিভ্রান্ত করতে চায়। বাংলাদেশে তামাকের উৎপাদন, আমদানী, রপ্তানী, রাজস্ব প্রভৃতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও বিস্তারিত তথ্য থাকা জরুরী। সেই সাথে এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রদত্ত ডাটার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা জরুরী। আমাদের বিশ্বাস, সরকারের কাছে সঠিক তথ্য থাকলে তামাকের প্রকৃত ক্ষতিকর দিক আরো সুষ্পষ্ট হবে এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সহজ হবে।
হামিদুল ইসলাম হিল্লোল বলেন, আমাদের দেশে সিগারেটের ৪টি স্তর প্রথা প্রচলিত রয়েছে। ফলে কোম্পানিগুলো সহজেই কর ফাঁকি দিচ্ছে। সেইসাথে এক স্তরের দাম বৃদ্ধি পেলে একজন ধূমপায়ীর অন্য স্তরের সিগারেট সেবন করছে। ফলে কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য ব্যহত হচ্ছে। সহায়ক নীতি প্রণয়ন, তামাকের কর কাঠামো সহজীকরণ ও প্রকৃত মূল্য বাড়ানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক কোম্পানিগুলোর প্রদানকৃত তথ্যের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা থাকে। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ইউনিট। এই ইউনিটের পক্ষ থেকে তামাকের কারনে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির বিষয়টির তুলে ধরে গবেষণা করা হলে দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
ড. মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। সরকারও সার্বিকভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক। যারা তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তাদের দায়িত্ব সরকারকে সঠিক তামাক নিয়ন্ত্রণ সহায়ক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করা। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট বিগত দিনেও তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগে সহায়তা করেছে। তামাক বিরোধী জোটের প্রস্তাবনার বিষয়টি আমরা বিস্তারিত আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
উক্ত প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন যমুনা টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা, অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, এইড ফাউন্ডেশনের এ্যাডভোকেসী অফিসার আবু নাসের অনীক, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সৈয়দা অনন্যা রহমান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা নওশিন বশীর এবং সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান।