বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র কার্যালয় ধূমপানমুক্ত ঘোষনা

পরোক্ষ ধূপমান যেহেতু অধূমপায়ীদেরও ক্ষতি করে তাই আগামীতে আনসার-ভিডিপিতে কর্মরত ও এসব প্রতিষ্ঠানে আগত অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূপমান থেকে রক্ষায় দেশের সর্ববৃহৎ বাহিনী, যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষাধিক আনসার ও ভিডিপি’র প্রধান কার্যালয় ধূমপানমুক্ত করা হয়েছে। আজ বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ জাহিদুর রহমান এ ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র মহাপরিচালক আরও বলেন, ১৫কোটির অধিক জনসংখ্যার এ দেশে মানুষকে তামাকের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষায় কৃষি নীতিমালা বা আইনের মাধ্যমেই খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ বন্ধ করা দরকার। পাশাপাশি তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে সচেতনতামুলক সামাজিক আন্দোলন জোরালো করা উচিত।
পরিবেশবিদ আবু নাসের খান বলেন, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্যবহার সব ক্ষেত্রেই পরিবেশ, অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তামাক চাষ করতে গিয়ে কৃষি জমি ধ্বংস হয়, খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হয়। তামাকের রাসায়নিক পানির সঙ্গে মেশায় পানি দূষিত হয়। আবার তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজে ব্যাপক পরিমাণ বনজ সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ তামাক ব্যবহার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করতে হবে। তামাক চাষ খাদ্য নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে তামাক চাষ বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র পদস্থ কর্মকর্তারা বলেন, তামাক বিরোধী কার্যক্রমে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হল আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি)। দেশের সর্ববৃহত স্থানীয় পর্যায়ের বাহিনী হিসাবে দেশের সর্বত্র নিরাপত্তায় নানা কাজে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি তামাক বিরোধী কার্যক্রমেও সক্রিয় থাকবে। প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ বলেন, পরোক্ষ শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। তাই সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে আনসার ও ভিডিপি’র সব কার্যালয় ধুমপানমুক্ত করা উচিত।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ জাহিদুর রহমান; এনডিইউ-এএফডাব্লিউসি-পিএসসি; জি+, সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোঃ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী; এএফডব্লিউসি-পিএসসি, উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) কর্ণেল স ম গোলাম কিবরিয়া; এএফডব্লিউসি-পিএসসি, উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) এ কে এম মিজানুর রহমান, উপ-মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর উপদেষ্টা পরিবেশবিদ আবু নাসের খান, প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কর্মসূচি সমন্বযকারী আমিনুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।
মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন নাটাব (জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি) এর প্রকল্প সমন্বয়কারী সাগুফতা সুলতানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, ইপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার নাজমুল হায়দার, বউকস এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাসিনুর রহমান, রিলেশন এর নির্বাহী পরিচালক আবদুল হাকিম, সিরাক বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এসএম সৈকত, সার্চ এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ শাহ আলম, মানব উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক শেখ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।