তামাক নিয়ন্ত্রণে কোম্পানীর প্রভাব বন্ধ করা হোক

টেকসই উন্নয়নে তামাকের মতো স্বাস্থ্যহানীকর পণ্য নিয়ন্ত্রণ জরুরী। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার জন (বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, ২০১৮)। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি পরিবেশ ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও তামাক ক্ষতিকর। তামাকের ভয়াবহতা তথা সার্বিক দিক বিবেচনায় আর্ন্তজাতিকভাবে সারাবিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করা হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। বাংলাদেশেও জনস্বাস্থ্যের ওপর তামাকের এই ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করে সরকার অনেক দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন ও তামাক-কর কাঠামো শক্তিশালি করতে কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে কাংখিত লক্ষ্য অর্জনের রোডম্যাপ প্রস্তত করছে সরকার। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় তামাক কোম্পানীগুলো দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন ও আইন বাস্তবায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করছে।

কেন বাংলাদেশ তামাক কোম্পানীর অন্যতম টার্গেট?
বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৪৯% মানুষের বয়স ২৮ বছর বা তার নিচে (প্রথম আলো, ২৫ এপ্রিল ২০১৬)। তামাক কোম্পানীগুলোর টার্গেট এই তরুণরা। তামাক কোম্পানীগুলো এমন ভোক্তা খোঁজে যাদের একবার আসক্ত করা গেলে দীর্ঘদিন তামাক সেবন অব্যহত রাখবে। সেদিক থেকে তামাক কোম্পানীগুলোর জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দেশের তরুনদের তামাক সেবনে আসক্ত করে তোলার জন্য বিজ্ঞাপন প্রচার, টেলিফোনে ধূমপানে উৎসাহিতকরণ, সরাসরি স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে “ব্যটল অব মাইন্ড” নামক কর্মসূচীর আড়ালে তামাকের প্রচারণা, পৃষ্ঠপোষকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানান কৌশল প্রয়োগ করে তরুণদের তামাক সেবনে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করছে তামাক কোম্পানীগুলো। সম্প্রতি সময়ে তামাকের ব্যবসা সম্প্রসারণে তামাক কোম্পানীর কিছু বিষয় উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশে তামাক কোম্পানীগুলোর প্রভাব উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পানীগুলোর এধরনের কার্যক্রম দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণকে কাংখিত লক্ষ্য অর্জনের পথে অগ্রসর হতে দিচ্ছে না। যা সার্বিক জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।তাদের এসকল অপচেষ্টাগুলোকে এখনই দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করতে না পারলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপসমূহ ও এর বাস্তবায়ন মারাত্বকভাবে ব্যহত হবে।

কর সুবিধা আদায়ঃ
প্রকৃত মূল্য এবং কর বৃদ্ধি তামাক নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর একটি পন্থা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনো বাংলাদেশে তামাকের প্রকৃত মূল্য অনেক কম। বাংলাদেশের বিদ্যমান কাঠামোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারি উদ্যোগসমূহ কে তামাক কোম্পানিগুলো কর্তৃক প্রভাবিত করার সুযোগ রয়েছে। কোম্পানীগুলো সে সুযোগ ব্যবহার করছে। চলতি অর্থ বছরে জনস্বাস্থের কথা বিবেচনা করে বিড়ি-র উপর ৩৫ শতাংশ সম্পুরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। যদিও তামাক নিয়ন্ত্রণের স্বপক্ষের আন্দোলনকারীরা বাজেট প্রতিক্রিয়ায় জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও রাজস্ব আয় বাড়াতে বিড়ির ওপর সম্পূরক শুল্ক আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল। গত ১৩ অক্টোবর ২০১৯ (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) এনবিআর কর বৃদ্ধির পরিবর্তে বিড়ির সম্পুরক কর আরো ৫ শতাংশ কমিয়ে ৩০ শতাংশ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারী করে। এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে আগামী ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত ২৫ শলাকার ১৪ টাকা মূল্যের প্যাকেটসহ সব ধরনের বিড়ি এই সুবিধা পাবে। বিড়ির ওপর বর্ধিত ৫% এসডি প্রত্যাহার করায় রাজস্ব আয় আরও কমে আসবে। এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হবে এবং জনস্বাস্থ্য মারাতœক ক্ষতিগ্রস্থ হবে অন্যদিকে বিড়ি কোম্পানীগুলোর লাভ বাড়বে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর তথ্যানুসারে, চলতি অর্থ বছরে সঠিক তামাক কর নীতির অভাবে সিগারেট হতেও রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনো বিবেচনাতেই বিড়ির ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার গ্রহণযোগ্য নয়।

মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়া বানচাল করার অপতৎপরতাঃ
সরকার জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগকে ব্যহত করতে বরাবরের মত মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও খন্ডিত তথ্য উপস্থাপন করে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়া বানচাল করতে ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা শুরু করেছে তামাক কোম্পানীগুলো। তামাক কোম্পানীগুলোর একটি সংগঠন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরিত চিঠিতে তামাক খাত থেকে বছরে বিশাল অংকের টাকা রাজস্ব আয়ের কথা তুলে ধরেছে কিন্তু তামাক ব্যবহারজনিত অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য গবেষণার তথ্যানুসারে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের পরিমাণ মাত্র ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। একই সময়ে শুধুমাত্র তামাক ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানোর ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

ক্ষতিকর ই-সিগারেটের বাজার সম্প্রসারণের প্রচেষ্টাঃ
ই-সিগারেট মরাত্বক স্বাস্থ্যহানিকর তা আন্তর্জাতিক নানা গবেষণায় প্রমাণিত হলেও তামাক কোম্পানী এটিকে নিরীহ পণ্য হিসাবে উপস্থাপন করে বৈধ ব্যবসার সুযোগ দাবী করেছে। এটিকে এখনই নিষিদ্ধ করা না হলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ই-সিগারেটের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ইতোমধ্যে এই পণ্যটিকে নিষিদ্ধ করেছে। আমেরিকাসহ অনেক দেশ এটিকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।

তামাক চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও কোম্পানীর প্রতারণাঃ
তামাক ব্যবহার যেমন স্বাস্থ্য ক্ষতি করছে তেমনি ক্রমবর্ধমান তামাক চাষের কারণে খাদ্য উৎপাদনযোগ্য জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। চুল্লিতে তামাকপাতা প্রক্রিয়াজাত করার কারণে ধ্বংস হচ্ছে বন। বাড়ছে জলবায়ূ পরিবর্তনের ঝুকিঁ। তথাপি তামাক কোম্পানীগুলো কৃষকদের নানাভাবে তামাক চাষে প্রলুব্ধ করছে। যেসকল চাষীরা কোম্পানীগুলোর প্রতারণার ফাদেঁ পড়ছে তারা নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৫শ তামাক চাষী একটি তামাক কোম্পানীর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কোম্পানীর পক্ষ থেকে চাষীদের তামাক চাষে উৎসাহিত করা হয়। চাষীরা টাকা আগাম নিয়ে বীজতলা তৈরী, চারা উৎপাদন, তন্দুল নির্মাণ কাজ শেষ করার পর শেষ মুহূর্তে এসে কোম্পানী সেসকল তামাক ক্রয় করবেনা মর্মে চাষীদের জানিয়ে দেয় (জনকন্ঠ, ২৪ অক্টোবর ২০১৯)। তামাক পাতা আর দশটি সাধারণ পণ্যের মতো নয়। এর ক্রেতা শ্রেনী নিদিষ্ট। যথাযথ ক্রেতা না পেয়ে চাষীরা কম মূল্যে তামাক পাতা বিক্রয় করতে বাধ্য হয়। এটিও তামাক কোম্পানীগুলোর এক ধরনের কৌশল।

পলিসিতে প্রভাব বিস্তারের দৃষ্টান্তঃ
দীর্ঘদিন ধরে কৌম্পানীগুলোর প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা লুকায়িত থাকলেও গণমাধ্যমের প্রচেষ্টায় অনেক বিষয় জনসম্মুখে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। একটি বিশেষ তামাক কোম্পানি তামাক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক নীতি বিলম্বিত ও তাদের পক্ষে করানোর জন্য নীতি নির্ধারর্নী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সন্তানদের চাকরী প্রদানও করেছে। সম্প্রতি তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সর্তকবানী প্রভাবিত করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে, তামাকজাত পণ্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবার্তা প্যাকেটের উপরিভাগের ৫০ শতাংশেজায়গা জুড়ে প্রদানের বিধান থাকলেও বিশেষ একটি তামাক কোম্পানীর অপকৌশলের ফলেই সংশোধিত আইন’ অনুযায়ী সেটা বদলে তামাক কোম্পানির দাবি অনুযায়ী নিচের অংশে ওই সতর্কবার্তা ছাপানো হয়।

সরকারের শেয়ার ও বিভিন্ন বিষয়ে রাষ্ট্রীয় পুরুস্কার প্রাপ্তিকে সুযোগ হিসাবে কাজে লাগানো হচ্ছেঃ
তামাক কোম্পানী আয়োজিত সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রমে (সিএসআর) নীতি নির্ধারনী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ, দেশে তামাক কোম্পানীগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারণে সুযোগ সম্প্রসারণ এবং তামাক কোম্পানীগুলোকে বিভিন্ন ইভেন্টে পুরুস্কার প্রদাণ সার্বিকভাবে তামাক উৎপাদনকে উৎসাহিত করছে। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তামাক কোম্পানীতে বাংলাদেশ সরকারের শেয়ার রয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ। অথচ এই ১১ শতাংশ শেয়ারের জন্য বিএটি পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে এর মোট ৯ জন পরিচালকের মধ্যে সরকারের রয়েছেন ৬ জন। এ বিষয়টিকে তামাক কোম্পানী সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করছে। যা তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে।

প্রকৃতপক্ষে তামাকে বিনিয়োগ এবং তামাক ব্যবসা সম্প্রসারণ রাষ্ট্রের কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তামাক কোম্পানীর কাছে জনস্বার্থ ও নীতি-নৈতিকতার চেয়ে মুনাফা অগ্রগণ্য। কিন্তু সরকারের কাছে অগ্রগণ্য জনস্বার্থ ও জনকল্যাণ। এফসিটি আর্টিক্যাল ৫.৩ তামাক কোম্পানীর হস্তক্ষেপ থেকে সহায়ক নীতিগুলো সুরক্ষার রক্ষা কবজ। তামাক নিয়ন্ত্রণকে এগিয়ে নিতে সহায়ক বিধায় এসডিজিতেও এফসিটিসি এর বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় সার্বিক দিক বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে তামাক কোম্পানীর অপচেষ্টা প্রতিহত করে তামাক নিয়ন্ত্রণের সুরক্ষায় ধারাবাহিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সুপারিশ

সুপারিশসমূহঃ

  • এফসিটির আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে সুনিদিষ্ট গাইডলাইন ও কোড অব কন্ডাক্ট প্রণয়ন এর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন
  • তামাক কোম্পানীর সাথে সকল ধরনের যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ
  • তামাক কোম্পানির বোর্ডে থাকা সরকারী কর্মকর্তাদের দায়- দায়িত্ব সংক্রান্ত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ
  • তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতিসহ সহায়ক অন্যান্য নীতি (এফসিটিসির আর্টিক্যাল ৫.৩ সংক্রান্ত গাইড লাইন, কোড অব কন্ডাক্ট, তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি, তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি, তামাক কর নীতি, ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) কৌশলপত্র) প্রণয়ন ত্বরান্বিতকরণ
  • তামাক কোম্পানী থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারের উদ্যোগ গ্রহণ
  • তামাক কোম্পানী আয়োজিক কর্মসূচীগুলোতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধকরণ
  • ক্ষতিকর তামাক ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরুৎসাহিতকরণ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ ব্যহত করতে পারে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ বন্ধ করা
  • স্বাস্থ্যহানীকর পন্য উৎপাদনকারী তামাক কোম্পানীগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরুস্কৃত করা থেকে বিরত থাকা
    তামাক কোম্পানির সাথে সকল আলোচনা নথিভুক্ত এবং অনির্ধিরিত আলোচনা বন্ধ করা।

লেখক: সৈয়দা অনন্যা রহমান, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট