করোনায় ধূমপান ও তামাক সেবনকারীদের মৃত্যুহার সবচাইতে বেশি!

আপনি জানেন কি, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারা বেশি মারা যাচ্ছে?

উত্তর: ধূমপান ও তামাক সেবনকারীরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপায়ীদের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি! বাংলাদেশের ৩৫.৩% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে। সুতরাং, চলমান করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে দেশের কয়েক কোটি মানুষ উচ্চ মাত্রার স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যারা ধূমপান ও তামাক সেবন করেন তাদের COVID-19 এ আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। কারণ, সিগারেট খাবার সময় হাতের আঙুলগুলো ঠোঁটের সংস্পর্শে আসে এবং এর ফলে হাতে (বা সিগারেটের গায়ে) লেগে থাকা ভাইরাস মুখে চলে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া, ধূমপায়ীদের আগ থেকেই ফুসফুসের রোগ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

তাদের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা তুলনামূলক কম থাকে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় বিধায়, সহজেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এমনকি অকাল মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে।

চীনে এক জরিপে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রতি একশ’ জন পুরুষদের মধ্যে মৃত্যু হয় ২ দশমিক ৮ জনের। কিন্তু নারীদের ক্ষেত্রে এই হার অনেকটাই কম। প্রতি ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা যাচ্ছেন ১ দশমিক ৭ শতাংশ। একই প্রবণতা দেখা গেছে ইতালিতেও।

দেশটির স্বাস্থ্য গবেষণা এজেন্সি বলছে, COVID-19 মৃতদের ৭০ শতাংশই পুরুষ। এর পেছনে ধূমপানকেই একটি বড় কারণ মনে করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা হচ্ছে, চীনা পুরুষদের একটি বড় অংশ ধূমপায়ী। ইতালিতেও পুরুষদের মধ্যে ধূমপায়ীর হার বেশি।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলার মতো কোনো ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। একে প্রতিরোধ করার একমাত্র উপায় ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরোধ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। তাই ধূমপান ও সকল প্রকার তামাক সেবন ছেড়ে দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে সকলকে।

বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই সরকারের উচিৎ,মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ক্ষতিকর পণ্য তামাকজাত পণ্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। এ লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে সকল তামাকের মূল্য বৃদ্ধি ও সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা আবশ্যক।