কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রনের স্বার্থে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন জরুরি
বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন করে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ বন্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট আয়োজনে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কৈবর্ত সভা কক্ষে “আইন সংশোধন এবং তামাক নিয়ন্ত্রণের বর্তমান প্রেক্ষাপট” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবী করেন।
 
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন এইড ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা, নাটাব এর প্রকল্প ম্যানেজার এ.কে.এম খলিল উল্লাহ, টিসিআরসি’র কর্মসূচি ব্যবস্থাপক ফারহানা জামান লিজা, ডাস্ এর প্রোগ্রাম অফিসার নাফিসুল ইমরানসহ ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান। সভাটি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা শুভ কর্মকার।
 
গাউস পিয়ারী বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের নানা সীমাবদ্ধতার জন্য তামাক কোম্পানিগুলোকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রনে আইনের সংশোধন প্রয়োজন। এছাড়া দেশে নতুন করে রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় তামাক প্ল্যান্ট স্থাপনের অনুমোদন সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রনের সাফল্যের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
 
সাগুফতা সুলতানা বলেন, তামাক কোম্পানি সরকারকে নানারকম বিভ্রান্তকর তথ্য প্রদাণ করেছে। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কার্যক্রম নিয়ে তারা বিভ্রান্তকর তথ্য প্রকাশ করছে। পাশাপাশি তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম, আইন ও নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ণে হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে কোম্পানির এসকল হস্তক্ষেপ বন্ধে সরকারের কঠোর সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
 
ফারহানা জামান লিজা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে যুগ উপযোগি করতে হবে। ভবিষ্যৎ এ তামাক নিয়ন্ত্রণের কথা চিন্তা করে আমাদের আইনের বেশকিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। বিশেষ করে অনলাইনে তামাকের প্রচারণা ও বিক্রি নিষিদ্ধ তামাক বিক্রির লাইসেন্স প্রথা চালু, কোম্পানির তামাকের ট্যাক্স ফাঁকি বিষয়গুলো আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। 
 
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জের হিউম্যান রিসোর্সের ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’র চঞ্চলা বর্মন, সুশাষনের জন্য নাগরিক এর প্রতিনিধি মোসতারী আকতার, বাংলাদেশ গার্ল গাইডস এসোসিয়েশন এর প্রতিনিধি খসরুবা আকতার প্রমূখ।