গণপরিবহন ও বাস টার্মিনাল ধূমপানমুক্ত হলে ধূমপায়ীদের নিরুৎসাহিত করা সম্ভব

গণপরিবহন ও বাস টার্মিনালে তামাকমুক্ত আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হলে ধূমপায়ীদের নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে অনেক মানুষকে ধূমপান হতে বিরত রাখা সম্ভব। এছাড়া কিশোর-তরুনরাও ধূমপান হতে বিরত থাকবে। ২৯ মার্চ ২০২২ সকাল ১০.৩০ টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র আয়োজনে এবং উন্নয়ন সংস্থা ডেভলপমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস অব সোসাইটি-ডাস্ এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-বাটা’র যৌথ সহযোগিতায় বিআরটিএ সম্মেলন কক্ষে গণপরিবহণ ও বাস টার্মিনালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে গুরুত্ব ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

বক্তারা বলেন, দেশে বাড়ীতে ৩৯ % (৪০.৮ মিলিয়ন), কর্মক্ষেত্রে ৪২.৭% (৮.১ মিলিয়ন) এবং পাবলিক পরিবহনে : ৪৪.০% (২৫.০ মিলিয়ন) পরোক্ষ ধূমপানের শিকার (সূত্র: গ্যাটস্ প্রতিবেদন ২০১৭)। এক গবেষণায় রাজধানী ঢাকার প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়া ৯৫ শতাংশ শিশুর দেহে উচ্চমাত্রার নিকোটিন পাওয়া গেছে যার মূল কারণ পরোক্ষ ধূমপান (সূত্র : যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত নিকোটিন এন্ড টোব্যাকো রিসার্চ সাময়িকীর প্রবন্ধ, ২০১৭)। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় গণপরিবহন ও বাস টার্মিনালে তামাকমুক্ত আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ জরুরি।

বক্তারা বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ এ পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহণে ধূমপান নিষিদ্ধ, ধূমপান ক্ষেত্রে জরিমানা ৩০০ টাকা এবং পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন না করলে জরিমানা ১০০০ টাকা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানে ধূমপানমুক্ত সাইন নেই এবং বিশেষ করে পরিবহনে চালক এবং হেলপার ধূমপান করে আসছে।

সভাপতির বক্তব্যে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, বিআরটিএ বেশ কিছু আদেশ জারি করেছে ধূমপান বিরোধী সাইনেজ এবং স্টিকারের উপর যা মাঠ পর্যায়ে তারা বাস্তবায়ন করছে। সকল এনজিওদের সমন্বয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কাজে এগিয়ে আসার উপর তিনি জোর দেন। বিআরটিএ তারপক্ষ থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে। এ বিষয়ে তিনি মোটিভেশনাল কার্যক্রমের উপর অধিকতর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ’র বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও উপ-পরিচালকবৃন্দ, বিআরটিসি’র প্রতিনিধিবৃন্দ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিবৃন্দ।

বিআরটিএ’র রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক জনাব শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রাব্বানী’র সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআরটিএ’র সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব নুর মোহাম্মদ মজুমদার, অতিরিক্ত সচিব। সভায় ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক জনাব সৈয়দ মাহাবুব আলম তাহিন। সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডাসের প্রকল্প উপদেস্টা জনাব আমিনুল ইসলাম বকুল