তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান
জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় প্রতিবন্ধকতা ‘তামাক’। ক্ষতিকর এ দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করে সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণের ধারাবাহিক পদক্ষেপ বিশ^ব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে। কিন্তু, তামাক কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রের কল্যাণে প্রণীত আইন লংঘন করে বিজ্ঞাপন প্রচান অব্যহত রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন কৌশলে জনগণকে তামাকজাত দ্রব্য সেবনে উদ্ধুদ্ধ করছে। বিজ্ঞাপন পন্য ব্যবহারে উৎসাহী করে তুলবার অন্যতম একটি মাধ্যম। তামাক বিরোধী জোট এর অর্ন্তগত সংগঠনগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা গেছে, সারাদেশে তামাক কোম্পানীগুলো তাদের আগ্রাসী প্রচার-প্রচারনা অব্যহত রাখার পাশাপাশি খালি প্যাকেটের বিনিময়ে নানাধরনের উপগহার সামগ্রী প্রদাণ করছে। 
 
১৭ জানুয়ারি ২০১৯ সকাল ১১টায় দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, বাঁচতে শিখ নারী এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র আয়োজনে “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে জনউদ্যোগ” শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও ষ্টিকার ক্যাম্পেইন কর্মসূচীতে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
 
বাঁচতে শিখ নারী’র নির্বাহী পরিচালক ফিরোজা বেগম এর সঞ্চালনায় এবং বাংলাদেশ কৃষক লীগ (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বাচ্চু’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা শুভ কর্মকার, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান, বাঁচতে শিখ নারী’র এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার তমীজ উদ্দিন। 
 
বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী সংগঠনগুলো আন্তরিকতার সাথে নিরলসভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। অপরদিকে, তামাক কোম্পানিগুলো ব্যবসা বাড়িয়ে মুনাফা অর্জনের নেশায় ক্রমাগত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লংঘন করে জনস্বার্থে প্রণীত আইনটির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের পাশাপাশি তামাকের সম্প্রসারণে আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত, এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সর্বোপরি ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরী। পাশাপাশি তামাক কোম্পানিগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই।
 
কর্মসূচীতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়ার্কাস ফেডারেশন ও বাঁচতে শিখ নারী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।