তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার করতে হবে

তামাক কোম্পানির আগ্রাসন প্রতিহত না করতে পারলে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে দ্রুত গাইডলাইন প্রণয়ন ও  কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করা হচ্ছে নানামুখী পদক্ষেপ। তামাক নিয়ন্ত্রণকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ে তোলার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু তামাক কোম্পানীর লাগামহীন হস্তক্ষেপ সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণকে ব্যহত করছে। আর এধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরীর জন্য কোম্পানীগুলোকে সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কো¤পানিতে সরকারের ৯.৮% শেয়ার।  
উক্ত বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে ১২ জানুয়ারি ২০২২ দুপুর ০৩:০০টায় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের উদ্যোগে ধানমন্ডি আবাহনী খেলার মাঠের সামনে “তামাক কো¤পানিতে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার করা হোক” শীর্ষক একটি অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত এ মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, তামাকের মত একটি স্বাস্থ্যহানীকর পণ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারের শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। জনস্বাস্থ্য হানীকর পণ্য উৎপাদনকারী একটি কোম্পানীতে সরকারের শেয়ার তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশে এসেনশিয়াল কমোডিটি এ্যাক্ট এর মতো অনেকগুলো আইনে এখনো তামাক কোম্পানীর জন্য সুবিধা রয়ে গেছে।  আইনগুলো যুগোপযোগী এবং জনবান্ধব করার পাশাপাশি তামাক কো¤পানি থেকে সরকারের শেয়ার পুরোপরি প্রত্যাহার করা জরুরী। উক্ত অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব, মিঠুন বৈদ্য, সাবিনা ইয়াসমিন খান, আরিফ হোসেন, নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা আজিম খান, কৃষ্ণা গোমেজ, ইশরাত এবং ইনিস্টিটিউট অব ওয়েলবিং বাংলাদেশ এর পলিসি অফিসার আ.ন.ম মাসুম, প্রোগ্রাম ম্যনেজার বরনি দালবত ও প্রমুখ।