তামাক নিয়ন্ত্রণে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রেলপথ আইন, “১৮৯০” সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত আইনটিকে আরো শক্তিশালী ও জনবান্ধব করার জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়ে ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মো. নূরুল ইসলাম সুজন (এমপি) এর সাথে উনার কার্যালয়ে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন।

স্বাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বলা হয় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অংশ হিসেবে সম্প্রতি সড়ক পরিবহন বিধিমালায় তামাক নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উদ্ধোধন হওয়া মেট্রোরেলও জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে ধূমপানমুক্ত রাখা হয়েছে। অনুরূপভাবে প্রস্তাবিত Railways (Amendment) Act, 2021, এর খসড়ায় রেলকে সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত পরিবহন ঘোষনা এবং রেলের বগি ও প্লাটফর্মসহ সকল স্থাপনায় ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপনের বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য রেলওয়ের যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যান্য প্রচারনার জন্য পৃথক বাজেট বরাদ্দের অনুরোধ জানানো হয়। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ রেলওয়ে ধারাবাহিক উদ্যোগ অব্যহত রয়েছে। ইতিমধ্যেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উদ্যোগ এবং এর অগ্রগতি বিষয়ে ১০টি ষ্টেশনের বেসলাইন জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে।

স্বাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-৪) মীর আলমগীর হোসেন এবং রেল মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার (কনসালটেন্ট) সাজিয়া বিনতে সালেহসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তগণ। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চের ফোকাল পার্সন অধ্যাপক ড. রোমানা হক, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল হেলাল আহমেদ, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ডাস’র উপদেষ্টা আমিনুল ইসলাম বকুল, এইড ফাউন্ডেশানের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পরিচালক সাগুফতা সুলতানা, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অফ প্রোগ্রাম (টিসি, এনসিডি) সৈয়দা অনন্যা রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান এবং আরিফ হোসেন।