তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে বাধাগ্রস্থ করতে বেপরোয়া কোম্পানি

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি খুচরা সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধ হলে তরুণদের মধ্যে নতুন করে তামাকের আসক্তি কম জন্মাবে। উক্ত বিষয়ের উপর আলোকপাত করে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উদ্যোগে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে, সকাল ১১.৩০ একটি জুম ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, দৈনিক মানবকন্ঠের সহকারী সম্পাদক দীপংকর গৌতম, তাবিনাজের সমন্বয়ক সাইদা আখতার এবং এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা আবু নাসের অনীক। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীবের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে তথ্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প কর্মকর্তা আরিফ হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে তামাক কোম্পানি নানাধরণের কৌশল অবলম্বন করছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সকল বিক্রেতাদের জন্য লাইসেন্সিং ব্যবস্থা বাধ্যমূলক এবং খুচরা বিক্রয় বন্ধ করা সম্ভব হলে ভ্রাম্যমান বিক্রেতারা নিরূৎসাহিত হবে এবং বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়বে। অথচ ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই এই আইন প্রচলিত আছে এবং সেখান থেকে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বক্তারা আরো বলেন, মদ, ঔষধ এমনকি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের বিধান থাকলে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্যও লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ। তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা কমিয়ে আনা সম্ভব হলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে। বক্তারা ধোয়াঁবহীন তামাক বিশেষ করে সাদা পাতাকে সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সাথে যুক্ত করার আহবান জানান। এছাড়া, তারা দেশের সকল ধোঁয়াবিহীন তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তালিকাভূক্ত করার জোর দাবী জানান।