তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে বিএটিবি’র প্রচারণা; জোট’র উদ্বেগ
জনস্বার্থে প্রণীত আইন তোয়াক্কা করছে না বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি। আইন পালনের পরিবর্তে সারাদেশে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।  ২৬ আগষ্ট  সকালে লালমাটিয়ার ডি ব্লকে  সিগারেটের প্রচারণা কার্যক্রম (সিগারেটের নতুন বিক্রয়কেন্দ্র- পয়েন্ট অব সেল স্থাপন, সুসজ্জিত বক্সে সিগারেটের বিজ্ঞাপন স্থাপন) পরিচালনা করেছে বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবি)।
 
২৬ আগষ্ট, রবিবার সকাল  ১১ টায় লালমাটিয়ার ডি ব্লকে সরোজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, “তারা ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে” বিএটিবি’র প্রতিনিধিরা তামাকজাত দ্রব্যের নতুন বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন ও আশে পাশে ‘স্টার নিও’ সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিজ্ঞাপন স্থাপনের পাশাপাশি এ সকল কার্যক্রমের দৃশ্য ধারণ করছে পুরো শ্যুটিং ইউনিটের মাধ্যমে। পিকআপ ভ্যানে করে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণসহ ১০-১৫ জনের একটি দল এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের কার্যক্রম পুরো এলাকায় ব্যাপক সারা ফেলেছে। 
 
উল্লেখ্য, “তারা” ষ্টোরের আশে পাশে কার্ডিফ স্কুলসহ বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে প্রচুর পরিমাণ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিগত দিনেও দেখা গেছে,  কোম্পানিগুলো মূলত, তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আসক্ত করতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশে-পাশে এ ধরনের প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। 
 
স্থানীয় কয়েকজন তামাক কোম্পানীর এধরনের কার্যক্রমে বিস্ময় প্রকাশ করে বলে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও কোম্পানীগুলো কোনমতেই আইন মানছে না। কোন সন্দেহ নেই এটি তামাক কোম্পানির এক ধরনের বাজার সম্প্রসারনের কৌশল। সারা দেশে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সাথে কার্যরত সংগঠনগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যেও আলোকে জানা গেছে স্থানীয় পর্যায়েও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে জনগনকে উৎসাহিত করার জন্য নানা ধরনের উপহার সামগ্রী তামাক কোম্পানীগুলো প্রদাণ করছে। 
 
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে ২০৪০ সালের মধ্যে “তামাকমুক্ত বাংলাদেশ” গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন করে তামাকজাত দ্রব্যের সকল ধরনের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে তামাক কোম্পানির এ ধরনের প্রচারণা সরাসরি আইনের লঙ্ঘণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র ২০৪০ সালের মধ্যে “তামাকমুক্ত বাংলাদেশ” গড়ার প্রত্যয় বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। রাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘণকারী তামাক কোম্পানিগুলোকে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।