দানবীয়’ হওয়ার আগেই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করুন ডা আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ই-সিগারেট বা ENDS কি?।
সাধারণ সিগারেটের বিকল্প হিসেবে এই ইলেকট্রনিক সিগারেট বাজারজাত করা হলেও এটি আসলে একটি নেশা সৃষ্টিকারী পণ্য

ই-সিগারেটের স্বাস্থ্য ঝুঁকি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হিট-নট-বার্ণ বা ই-সিগারেট যে নামেই অবহিত করা হোক না কেন এ ধরনের পন্যকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইউএস সার্জন জেনারেল রিপোর্ট অনুযায়ী, ই-সিগারেট ব্যবহারে হার্ট এট্যার্ক, স্ট্রোক ও ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।

কিশোর তরুণ টার্গেট
তামাক কোম্পানিগুলো ক্ষতি কমানো এবং ধূমপান ত্যাগের উপকরণ হিসেবে হিট-নট-বাৰ্ণ বা ই-সিগারেটে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে। প্রায় ৮,০০০ বিভিন্ন স্বাদ যেমন ফল, সফট ড্রিঙ্কস, চকোলেট, পুদিনা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ফ্লেভারে ই- সিগারেটগুলি “স্বাস্থ্যকর এবং ট্রেন্ডিপণ্য” হিসাবে বাজারজাত করা হয়, যা মূলত কিশোর-কিশোরীদের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে এবং নেশায় আকৃষ্ট করে।

জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণে কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গ্লোবাল টোব্যাকো এপিডেমিক-২০২১’ রিপোর্ট অনুযায়ী ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS) আসক্তি তৈরি করে এবং এটা মোটেও নিরাপদ নয়; যে কারণে ইতোমধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইরান, ইরাক, ওমান, কাতারসহ বিশ্বের মোট ৩২টি দেশে ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS)/ই-সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ভ্যাপের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় নিকোটিনে আসক্ত এক তরুণ প্রজন্ম গড়ে উঠছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাটলার

বাংলাদেশ ভেপিং/ইসিগারেট নিষিদ্ধ
১. বাংলাদেশের ১৫৩ জন সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত একটি চিঠিতে সুপারিশ করেছেন যেন বাংলাদেশে ই-সিগারেট বা ভেপিংযের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।
২. স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ইসিগারেট নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে।
৩. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা এবং প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীতে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ
করার সুপারিশ করা হয়েছে।
৪. মহামান্য আপীল বিভাগ সিভিল আপীল নং ২০৪-২০৫/২০০১ ০১/০৩/১৬ এক রায়ে বাংলাদেশে যৌক্তিক সময়ে তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনতে নির্দেশনা প্রদান করেছে। একই রায়ে দেশে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের নতুন কোন কোম্পানি অনুমোদন না প্রদান এবং বিদ্যমান তামাক কোম্পানিগুলো অন্য দ্রব্য উৎপাদনের সহযোগিতার নির্দেশনা প্রদান করেছে। এমতবস্থায় এ ধরনের নতুন স্বাস্থ্য হানিককর দ্রব্য নিষিদ্ধদের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
৫. গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে- ২০১৭ অনুসারে, বাংলাদেশে মাত্র 0.2% ইসিগারেটের সক্রিয ব্যবহারকারী আছে।