ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেট প্রবর্তন জরুরী

১৯ মার্চ ২০১৬ হতে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ও তামাক নিয়ন্ত্রণে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কিন্তু তামাকজাত পণ্যের মোড়কের ও সাইজের ভিন্নতা, দূর্বল মোড়কজাতকরণ, মোড়কে কোম্পানীর পরিপূর্ণ নাম ঠিকানা, প্যাকেট বা মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা এবং একই নাম ও ব্র্যান্ডে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির পণ্য বাজারজাতকরণসহ নানান কারনে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী কাজে আসছে না।

১৪ অক্টোবর ২০১৮ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) ডিআইইউ, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র যৌথ আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এ বক্তব্য প্রদান করেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, টিসিআরসি’র সদস্য সচিব মো. বজলুর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা ফারহানা জামান লিজা, মো. মহিউদ্দিন, তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ) এর প্রোগ্রাম অফিসার মো. রাশেদ প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের কৌটা বা মোড়কের আকার এবং মোড়কে প্রদত্ত ছবির আকার অত্যন্ত ছোট এবং অস্পষ্ট হওয়ায় তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হচ্ছে না। মোড়কের সাইজ এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী যদি আরো বড় এবং ভয়াবহ হয় তবে তা তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহি করবে। যেহেতু ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই নিন্ম মধ্যবিত্ত এবং অক্ষর জ্ঞানহীন। সে কারনে তামাকপণ্যের মোড়কের “লিখিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী” তাদের সতর্ক করতে পারছে না। এক্ষেত্রে সব থেকে কার্যকর সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর সঠিক প্রয়োগ যা শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেট প্রনয়ণের মাধ্যমেই সম্ভব।