বাজেটে তামাকজাত পণ্যে কার্যকর করারোপ করা হোক

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাকজাত পণ্যের যৌক্তিক কর ও মূল্য বৃদ্ধির পাশপাশি সুনির্দিষ্ট কর আরোপের দাবিতে গত ২৮ জুন, ২০২২ মঙ্গলবার বেলা ১১.০০ টায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে ধানমন্ডি আবাহনী খেলার মাঠের সামনে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধির পাশাপাশি শক্তিশালী করনীতি প্রণয়নের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রত্যয় বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত সংগঠন, রাষ্ট্রের কল্যাণ প্রত্যাশী নীতি নির্ধারক ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ দীর্ঘদিন যাবৎ তামাকের উপর কর বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিবছর যে সামান্য পরিমাণ কর বৃদ্ধি করা হয় তা তামাক নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট কার্যকর নয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটেও কর বৃদ্ধির এই দাবির কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। এছাড়াও ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্য ও ফিল্টারবিহীন বিড়ির কর ও মূল্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি বিবেচনায় বর্তমান বাজেটে তামাকজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির পরেও ক্রয়মূল্য আদতে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থেকে যাবে। এছাড়া উপস্থিত বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ এই কর বৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করছে। পরিশেষে তারা, তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার এবং এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ অনুসারে গাইডলাইন প্রণয়নের দাবি জানান।