বিএটির “ব্যাটল অব মাইন্ড” কর্মসূচী বন্ধে এনটিসিসি’র নির্দেশনা

ক্ষতিকর তামাক পণ্যের ব্যবহার কমাতে সরকার তামাকের সকল ধরনের প্রচার ও বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে তামাক কোম্পানীরগুলো কিশোর ও তরুণদের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উৎসাহিতকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক নানা কর্মসূচী গ্রহণ করছে। যা অত্যন্ত উৎকন্ঠার বিষয়।

তামাক কোম্পানীগুলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে “ব্যাটল অব মাইন্ড” নামক কর্মসূচীর আড়ালে নানা ধরনের প্রচারনা কর্মসূচী আয়োজনের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আশেপাশে তামাকের দোকান স্থাপন বাড়িয়ে দিয়েছে। যা দেশের তরুণদের তামাকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে। এমতাবস্থায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে তামাক কোম্পানীগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরী। উল্লেখ্য সম্প্রতি ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়, বুয়েট, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসে তামাক কোম্পানীর এ ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রম বন্ধ করে। উল্লেখ্য, তামাক কোম্পানির “ব্যাটল অব মাইন্ড” কর্মসূচি বন্ধে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলও ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তামাক কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন (ব্যাটল অব মাইন্ড, এক্সসীড ক্যাম্পাস এম্বাসেডর, ও বিভিন্ন ধরনের সেমিনার) কার্যক্রম বন্ধে একটি চিঠি শিক্ষা বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে প্রেরণ করেছে।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এ উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানায় পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তামাক কোম্পানির প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানায়।