বিশ্ববিদ্যালয়ে তামাক কোম্পানির প্রচারণা বন্ধে ইউজিসি’র নির্দেশনা

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর চিঠির প্রেক্ষিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাটল অব মাইন্ডসহ তামাক কোম্পানির সব ধরনের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন। ০৩ অক্টোবর ২০১৯ যুগ্ম-সচিব জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর এর স্বাক্ষরে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়। 

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলও ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তামাক কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন (ব্যাটল অব মাইন্ড, এক্সসীড ক্যাম্পাস এম্বাসেডর, ও বিভিন্ন ধরনের সেমিনার) কার্যক্রম বন্ধে একটি চিঠি শিক্ষা বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনে প্রেরণ করেছে।

শিক্ষার্থী ও দেশের তরুণ প্রজন্মকে নেশার করাল গ্রাস থেকে রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশে-পাশে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়কেন্দ্র না রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানায় জোট। এ বিষয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন বরাবর চিঠি প্রেরণের মাধ্যমে অনুরোধ জানায়।

উল্লেখ্য, তামাক কোম্পানীগুলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে “ব্যাটল অব মাইন্ড” নামক কর্মসূচীর আড়ালে নানা ধরনের প্রচারণা কর্মসূচী আয়োজনের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আশেপাশে তামাকের দোকান স্থাপন বাড়িয়েছে। যা দেশের তরুণদের তামাকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে। এমতাবস্থায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে তামাক কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরী। এর আগে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়, বুয়েট, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ক্যাম্পাসে তামাক কোম্পানির এ ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রম বন্ধ করে। তামাক কোম্পানির “ব্যাটল অব মাইন্ডসহ তামাকের প্রচারণা কর্মসূচি বন্ধে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ বলেন, বিএটিবি ২০০৪ সাল থেকে তাদের ব্র্যান্ড প্রমোশন, তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করা এবং নীতি প্রণেতাদের প্রভাবিত করতেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। কর্মসংস্থান তৈরীর নামে কোম্পানিটি প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতা আয়োজনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিগত ১৬ বছরে চাকরি দেওয়ার নামে ৩০ হাজারের অধিক তরুণকে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো হলেও চাকরি পেয়েছে মাত্র ১০০ জন বা এর সামান্য কিছু বেশি সংখ্যক প্রতিযোগী। এ থেকেই তাদের আসল উদ্দেশ্য বোঝা যায়। আমাদের তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষায় তামাক কোম্পানিগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।