সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন জরুরি – মাননীয় মেয়র মহোদয়ের আহবান

প্রতিবছরের মতো এবারও নানা অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে “বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস”। “তামাক নয় খাদ্য ফলান” বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে গত ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আজ ৪৯ নং ওয়ার্ড কাওলায় একটি তামাক বিরোধী একটি র‌্যালী ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় ।

উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জনাব আতিকুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরং ঢাকা- ১৮ এর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসান এমপি । আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. সেলিম রেজা এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান নাঈম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, ডাস্ এর উপদেষ্টা আমিনুল ইসলাম বকুল এবং টিসিআরসি এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, ঢাকা আহসানিয়া মিশন, বিইআরসহ তামাক বিরোধী অন্যান্য সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মীগণ, বাংলাদেশ স্কাউট এবং এলাকাবাসী ।

মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, যেকোন নেশায় আসক্ত হবার “গেইট ওয়ে” তামাক । তামাকের মাধ্যমেই অন্যান্য মাদকে আসক্ত হবার সূত্রপাত ঘটে। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সকলকে তামাক কে না বলার আহবান জানান । তিনি বলেন, একটি সুস্থ, উন্নত জাতি তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তামাকমুক্ত দেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসান এমপি বলেন, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ইতিমধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীটি পাশ করার বিষয়ে মাননীয় সংসদ সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন। তিনি নিজেও জনস্বাস্থ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি পাশের বিষয়ে তার সুদৃঢ় অবস্থানের কথা বলেন। সরকারের উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে এবং দেশের আগামী প্রজন্মকে তামাকের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এখনই তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

মো: সেলিম রেজা বলেন, তামাকের কোন ইতিবাচক দিক নেই । তামাক এবং মাদক মুক্ত থাকার জন্য তিনি সকল তরুণদের সচেতন হবার আহবান জানান। তামাকের পরিবর্তে বিকল্প ফসল উৎপাদনের জন্য চাষীদের উৎসাহিত করতে হবে। তামাককে বর্জন করে অধিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য আবাদযোগ্য জমি ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে চাষীদের অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা প্রদান করতে হবে। তিনি আরও বলেন সুস্থ্, মানসিক ও শারিরীক সক্ষমতাসহ আধুনিক জাতি গঠন করতে চাই। এ ক্ষেত্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রত্যয় তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের মূল শক্তির জায়গা। তামাকের ভালো কোন দিক নাই। তামাকের মতো ভয়াবহ নেশা থেকে দূরে থাকার জন্য সকলে মিলে একাত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম নির্দেশিকা এর ৮ অনুসারে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্স গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা এবং মনিটরিং জোরদার করা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা এর ৭.২ (৭.২.৭) অনুসারে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক “তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখা” এবং সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল কোর্টগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের বিষয়টি সংযুক্ত করার আহবান জানানো হয় ।