“জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি, তামাক কোম্পানির প্রভাব প্রতিহত করি”

‘জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষ্যে ৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০:০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।  বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, ‘প্রত্যাশা’ মাদক বিরোধী সংগঠন, এইড ফাউন্ডেশন, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট যৌথভাবে কর্মসূচি আয়োজন করে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি, তামাক কোম্পানির প্রভাব প্রতিহত করি”

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন করা হলেও তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত আইন লঙ্ঘন করে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। বিজ্ঞাপন প্রচারণার পাশাপাশি নীতিতে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

বক্তারা আরও বলেন, কোম্পানির প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিগুলো সুরক্ষিত করতে একটি সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন প্রণয়ন করা জরুরি। প্রচলিত আইনটি আরও শক্তিশালী করে তামাকের কর বৃদ্ধি, সহায়ক নীতি প্রণয়ন এবং আইন বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী ও ‘প্রত্যাশা’ মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ‍সৈয়দা অনন্যা রহমান, নবনীতা মহিলা উন্নয়ন সমিতি’র নির্বাহী পরিচালক আতিকা হোসেন, শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. জাকির হোসেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রকল্প কর্মকর্তা অদূত রহমান ইমন, আইডাব্লিউবি’র পলিসি অফিসার আ.ন.ম মাসুম বিল্লাহ ভুইয়া, নাটাব এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ, টিসিআরসি’র প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, লিও ক্লাব ওয়েসিস এর প্রতিনিধি আকিব ‍দীপু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১১ সাল থেকে জোট তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনটিকে বেসরকারীভাবে ‘জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। এবছর “জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি, তামাক কোম্পানির আগ্রাসন প্রতিহত করি” প্রতিপাদ্যটিকে সামনে দেশব্যাপী জোটের সদস্য সংগঠনসমূহের উদ্যোগে দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।