বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ৪০০ এর অধিক তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ , যা ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টাবর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সরকারের সহায়ক শক্তি হিসাবে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রন আইন প্রণয়ন, সংশোধন, তামাকের কর বৃদ্ধি, তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং, বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের জাতীয়/জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করছে জোট।
১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১১ সাল থেকে জোট তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনটিকে বেসরকারীভাবে জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস’হিসেবে […]
১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১১ সাল থেকে জোট তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনটিকে বেসরকারীভাবে ‘জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন […]
২৫ মে ২০২১ বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগে প্রতিবন্ধকতা ও করনীয়” শিরোনামে একটি ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
২৪ মে, ২০২১ ‘তামাক কর বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়েছে।
“তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপের দাবী“তে অনলাইন সংবাদ সম্মেলন । ২২ মে ২০২১ সকাল ১১.০০ টায়
“Dhaka Conference on Tobacco or Health 2020 (DCTOH 2020)” is going to be organized on 27 February 2021 at Liberation War Museum, Agargaon, Dhaka. 26 […]
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ৫% এ নামিয়ে এনে “তামাকমুক্ত বাংলাদেশ” গড়তে হলে আইন ও নীতি সুরক্ষার পাশাপাশি এ ত্রুটিগুলো দূরীকরণে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী। উক্ত বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে………
দ্যা ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট যৌথভাবে ১২ জানুয়ারী ২০২১, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ এ “Conference on Sustainable Tobacco Control in Bangladesh” শীর্ষক দিনব্যাপী একটি সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
“ই-সিগারেট: স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক ওয়েবিনার। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ বিকাল ৩:০০ টা
‘এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ বাস্তবায়নে কোড অব কন্ডাক্ট প্রণয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা ৩০ নভেম্বর ২০২০ সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর মহাখালী, ঢাকায় (সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশন এর ৪র্থ তলার সভা কক্ষে), অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ৩০ টি জেলার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের হার ৫০ শতাংশেরও কম। তামাক কোম্পানির বেপরোয়া আইন লঙ্ঘন এবং পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতার কারণে […]
সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বিশেষজ্ঞদের সাথে নিয়ে একটি জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিসিপি) প্রণয়ণে কাজ […]
পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালায় তামাক সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানকে লাল শ্রেণির পরিবর্তে তুলনামূলভাবে কম ক্ষতিকর কমলা শ্রেণিভূক্ত করা হয়েছে। এর ফলে তামাকের ক্ষতি সম্বন্ধে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি […]
পরিবেশ বিনষ্টকারী তামাককে লাল শ্রেনী থেকে হঠাৎ করেই কমলা শ্রেণীতে অন্তর্ভূক্ত করায় পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্বিঘ্ন। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা -২০২৩ অনুসারে তামাক […]
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটির (বিএমএসএস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পাবলিক হেলথ (স্কফ) জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি এর আর্টিক্যাল-৫.৩ কে সমর্থন জানিয়ে তামাক কোম্পানিকে […]
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি তামাক কোম্পানিকে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করার নীতি গ্রহণ করেছে। ২৩ মার্চ (শনিবার) ২০২৪ , সকাল ১১ টায় রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ […]
করোনার পর হতে ঢাকার রেস্টুরেন্টগুলোর ভিতরে বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানির মদদে গড়ে উঠছে ধূমপানের স্থান। যার মূল উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করা এবং সিগারেটকে মানুষের কাছে […]
সরকারের প্রচেষ্টায় জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলেও এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যান্সার ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগীর সংখ্যা। এর পিছনে রয়েছে তামাক কোম্পানির কালো হাত। […]
বাংলাদেশের প্রথমসারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তামাক কোম্পানিকে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করার নীতি গ্রহণ করেছে। বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত ১২ হাজার […]
বিএমইটি’র আওতাধীন ১১০ টি প্রশিক্ষণ সেন্টারে ড্রাইভিং ও পিডিও ক্লাসে যে সকল প্রশিক্ষক তামাক বিরোধী ভালো কাজ করবে তাদেরকে বাৎসরিক এওয়ার্ড প্রদান করার কার্যকরী রুপরেখা […]
তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের ধারাবাহিক উদ্যোগ সত্ত্বেও দুটি বিদেশী সিগারেট কোম্পানি আইন ভঙ্গে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য দেশের তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করা। এই […]
পাবলিক প্লেস ও নৌ-পরিবহন ধূমপানমুক্ত করার মাধ্যমে জনগণকে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর দিক হতে রক্ষা করতে বিআইডব্লিউটিএ, নৌপুলিশ, আনসারসহ সকল নৌ-পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনদের ঐকান্তিক সহযোগিতাকে […]
সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন”-র সংশোধনী প্রস্তাবে ই-সিগারেটের প্রচার, প্রসার, আমদানি, রপ্তানি, পরিবেশন, বিপণন নিষিদ্ধের প্রস্তাব দেওয়ার […]
বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি তামাক কোম্পানিকে কোনোপ্রকার সহযোগিতা না করার নীতি গ্রহণ করেছে। আজ ১১ অক্টোবর ২০২৩, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে বাংলাদেশ তামাক […]
৯ অক্টোবর জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস। ২০১১ সাল থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বেসরকারী সংগঠনগুলো এই দিনটিকে পালন করে আসছে। এবছরের প্রতিপাদ্য “জীবনের জন্য, পরিবারের জন্য তামাক […]
দেশব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনে ২টি সিগারেট কোম্পানি অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি দেশের ১৬টি জেলায় ২২,৭২৩টি বিক্রয়কেন্দ্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার […]
সাংবিধানিকভাবে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকার সর্বদা বদ্ধপরিকর। ‘তামাক’ জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর পণ্য, এটি সর্বজনস্বীকৃত। গবেষণায় দেখা […]
টেকসই উন্নয়নের জন্য তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। তামাকের মতো স্বাস্থ্যহানীকর দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ সর্বোপরি রাষ্ট্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণে কর বৃদ্ধি এবং আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটি জরুরী বিষয়।
বাংলাদেশে নীতিগুলো সুরক্ষিত ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গতিশীল করতে এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে গাইড লাইন প্রণয়ন করা এখন সময়ের দাবী। সেইসাথে রাস্টের প্রণীত আইনগুলোর সাথে সাংর্ঘষিক আইনগুলো সংশোধনের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বর্তমানে বলবৎ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটি সংশোধন করে আরো শক্তিশালী করাও জরুরী।
সুপরিকল্পিতভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ কিংবা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে এ সম্পর্কিত নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা অতীব প্রয়োজন। আর এজন্য স্থানীয় সরকারের এই পর্যায়গুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণে বেশি বেশি বাজেট বরাদ্দ এবং পরিকল্পিত উপায়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা জরুরি।
রাজস্ব ফাঁকি রোধের পাশাপাশি স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং জনম্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করবে; ভোক্তার অধিকার সুরক্ষিত হবে; জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর বৃদ্ধিতে ও সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে; ওজন, উপাদান, উৎপাদনের তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ থাকায় বিএসটিআই-এর বিধিমালা অনুযায়ী মোড়কের মান সম্পন্ন হবে, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মনিটরিং সহজতর হবে…..
তামাকজাত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির হার যদি নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির হার, মানুষের ক্রয় সামর্থ বৃদ্ধির হার এবং মূদ্রাস্ফীতির হারের চাইতে অধিক না হয় তবে তা তামাক নিয়ন্ত্রণে কোন অবদান রাখতে পারে না। সর্বোপরি জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর এটি মারাত্বক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটি তামাক কোম্পানীকে নানাভাবে লাভবান করবে যা তাদেরকে ব্যবসা প্রসারে উৎসাহিত করবে।
ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে ভারতবর্ষের অনেক মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের পক্ষে টেনেছিল, ব্রিটিশ বেনিয়াদের সুরে তাল মিলিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে বলে বেড়াতেন আড়াই’শ বছর আগে। তেমনি একুশ শতকে বাংলাদেশেও তেমনি বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানীগুলো প্রচার প্রচারণায় বিভ্রান্ত করছে দেশের নীতিনির্ধারকসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের। তামাকজাত পণ্যের বাজার দ্রুত সম্প্রসারণ ও আকণ্ঠ মুনাফা অর্জনে অত্যন্ত সফলভাবে তৈরী করেছে বেশ কিছু মিথ! আর এই মিথগুলোর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কতিপয় সংসদসহ অর্থ-শিল্প-কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
তামাকদ্রব্যে কর বাড়ালে দামও বাড়ে, যা তরুণ ও দরিদ্রদের মধ্যে তামাকের ব্যবহার হ্রাস করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে, তামাক কর স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন খাতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের একটি উৎস হতে পারে। তাছাড়া তামাক ব্যবহার করোনাকালীন চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। কারণ, তামাক ব্যবহারকারীদের অন্যদের তুলনায় আইসিইউ বেশি দরকার পড়ে। সেদিক থেকেও স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার অতিরিক্ত চাপ কমাতে তামাক খাত থেকে আরও বেশি অর্থ আদায় করা জরুরি।
অনেকটা এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করার মতো। সরকার চাইলেই করানোয় আক্রান্ত স্বাস্থ্য খাত ও অর্থ খাত দুটোকেই একসঙ্গে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আসন্ন বাজেটে কেবল তামাকপণ্যের দাম বাড়িয়েই অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জন এবং তামাক ব্যবহারজনিত স্বাস্থ্যব্যয় কমানো সম্ভব।
মনে রাখা জরুরী স্বাস্থ্য এবং জীবনের চেয়ে অর্থ কোনভাবেই অধিক মূল্যবান নয়। বহু অর্থ ব্যয় করেও একটি জীবন ফিরিয়ে আনা যায় না। যার প্রমাণ আমরা এই কোভিড-১৯ মহামারীর সময়েও পেয়েছি। মাদকের প্রবেশ পথ তামাক নিয়ন্ত্রণেও গ্রহণ করছেন ধারাবাহিক নানা পদক্ষেপ। কিন্তু বিদ্যমান দূর্বল ও বহু স্তর বিশিষ্ট তামাক কর কাঠামো এবং তামাক কোম্পানীগুলোর কৌশলের কারণে তামাকের উপর এখনো সঠিভাবে করারোপ সম্ভব হয়নি। যার ফলে দেশে তামাকের ক্ষেত্রে এমন কর কাঠামো বিদ্যমান রয়েছে যেখানে সরকারের চেয়ে কোম্পানীর লাভ অনেক বেশী।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠির ৪৯% বয়সে তরুণ। তামাক কোম্পানিগুলো দীর্ঘমেয়াদে ভোক্তা তৈরীতে তরুণ প্রজন্মকেই টার্গেট করে বিভিন্ন উপায়ে আইন বহি:র্ভূত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে তামাকের নেশায় ধাবিত করছে। ধূমপান ও তামাক সেবন হচ্ছে মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। ধূমপানের মাধ্যমে নেশার জগতে প্রবেশ করে তরুণদের অনেকে মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা সংকট তৈরি করছে। এজন্য তরুণদের নেশা থেকে দূরে রাখতে ধূমপান থেকে বিরত রাখা জরুরি।
তামাক ব্যবহারের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে প্রায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার লোকের মৃত্যু ঘটেছে, যা সে বছরের মোট মৃত্যুর ১৩.৫ শতাংশ। একই বছরে প্রায় ১৫ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত রোগে ভুগছিলেন এবং প্রায় ৬১ হাজার শিশু পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শে আসার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
নতুন প্রজন্মের সামনে সুন্দর ভবিষ্যৎ আগামী ও নিষ্কটক পৃথিবী রেখে যেতে হলে অন্যান্য উন্নয়নের পাশাপাশি তামাকমুক্ত সুস্থ সুন্দর তারুণ্য গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত নিবেদন, তামাকপণ্যের আধিপত্য রোধে তামাকজাত পণ্যের প্রতি উচ্চহারে করারোপ করা হোক এবং যত্রতত্র তামাকপণ্য বন্ধে বিক্রয়কর্মীদের লাইসেন্স বাধ্যতামুলক করা হোক। নতুন প্রজন্মের আকাশ মুক্তি পাক বিষাক্ত কালো ধোঁয়া থেকে এই কামনায় করি।
তামাক সেবন/ধূমপান করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি ১৪ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে তোলে। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি তামাক সেবনকারীদেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ (৩৫.৩%) মানুষ কোন না কোন তামাক ব্যবহার করে। এর মধ্যেই শিল্প মন্ত্রণালয় তামাক কারখানা খোলা রাখার বিশেষ অনুমতি প্রদান করেছে। যা সরকারের করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমকে ভন্ডুল করে তুলতে পারে।
তামাকের জমিতে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশকের ব্যবহার করার কারণে তামাকের জমি থেকে নদী, জলাশয়ের মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর ক্ষতি হয়। এতে জীব-বৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং মানুষের পুষ্টির যোগান বন্ধ হয়ে যায় ফলে শিশুসহ সকলে পুষ্টিহীনতায় ভোগে। অন্যদিকে তামাকের ক্ষেতে অধিক মাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের প্রয়োগ এবং তামাক চাষ ও বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে তোলার প্রক্রিয়ায় কৃষক, শ্রমিক, নারী ও শিশু নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
আমিন-উল-আহসান । আমাদের আত্নতৃপ্তির জায়গা এই যে, আমরা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি সবার আগে সমর্থন করেছি। দ্রুততম সময়ে এফসিটিসি অনুস্বাক্ষর করেছি এবং সেই […]